এর ফলে প্রতিমাশিল্পীদের অনেককেই প্রতিমা টেনে কারখানার ভিতরে ঢোকাতে হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ শিল্পীরই কারখানার মধ্যে জায়গা ভীষণ কম। তাই বেশির ভাগ শিল্পীদের খোলা আকাশের নীচেই প্রতিমা গড়তে হয়। কিন্তু এই আচমকা বৃষ্টিতে তাঁদের তৈরি প্রতিমা ভিজেো যাচ্ছে। সেগুলি শুকোতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে শিল্পীরা। অনেকেই ব্লোয়ার এবং পেডেস্টাল ফ্যান ভাড়া করেছেন, তাতে বাড়তি খরচও হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ স্কুলের মধ্যে হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস! ব্যাপারটা কী? দেখুন ভিডিও
প্রসঙ্গত, পুজোর মরশুমে কুমোরটুলি জুড়ে বিরাট কর্মকাণ্ড চলে। শহরের শ’পাঁচেক প্রতিমাশিল্পী রয়েছে। তারপরে বাইরে থেকে প্রচুর কর্মচারী শিলিগুড়িতে আসে মূর্তি তৈরি করতে। বৃষ্টির মরশুমে প্রতিমা বাঁচাতে তাঁরা কোনওমতে প্লাস্টিকের চাদরে প্রতিমা ঢেকে রাখেন। এছাড়া ভিজে প্রতিমা শুকোনোর জন্য তাঁরা ব্লোয়ার ও পেডেস্ট্রাল ফ্যানের সাহায্য নেন। এইসময় কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্পীরা এই দুটি জিনিস ব্যাপকহারে ভাড়া নিয়ে থাকেন।
শিলিগুড়ির মৃৎশিল্পী সরোজ পাল জানালেন, “বৃষ্টি চিরকালই আমাদের শত্রু। বৃষ্টি হওয়াতে আমরা অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। পুজো তো আর পেছাবে না, কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। ব্লোয়ার আর ফ্যান দিয়ে মূর্তি শুকোনোর কাজ চলছে। এগুলি ভাড়া করতে আমাদের বহু টাকা খরচ হয়। কিন্তু সময়ে কাজ শেষ করতে গেলে ব্লোয়ার ও ফ্যান ভাড়া নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। এভাবে প্রতিমার দামও বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই।”
অনির্বাণ রায়