স্কুলে প্রথম হয়ে পরিবারের নাম উজ্জ্বল করল কাকলি সাহা। ৫০০ র মধ্যে কাকলির মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৩। তিনি শিলিগুড়ির কাছে ফুলবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে শান্তিপাড়ার বাসিন্দা কালাচাঁদ এবং মঞ্জু সাহার বড় মেয়ে। কাকলির স্বপ্ন বিডিও অথবা এসডিও হওয়ার। কিন্তু আর্থিক সংকট তাঁর স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চায় কাকলি ও তার পরিবার ৷
advertisement
আর্থিক অনটনের মধ্যে স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে কাকলী ও তার পরিবার। কাকলীর বাবা কালাচাঁদ সাহা ভাঙারি দোকানের সামান্য বেতনের কর্মী এবং মা গৃহবধূ। বাড়িতে রয়েছে দুই মেয়ে। অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে আসছেন। এদিন কাকলির ভাল ফলাফলের খবরে মায়ের চোখে জল। ফোন না থাকায় সুখবরটুকু সময় মতো জানতেও পারলেন না বাবা।
এদিন কাকলি বলেন, “আমার এই সাফল্য অনেকেই সাহায্য করেছে। এমনও সময় গিয়েছে অর্থের অভাবে টিউশন ফি দিতে পারিনি। স্বপ্ন WBCS পরীক্ষায় বসে বড় অফিসার হওয়া। তবে আপাতত আমি টিউশন পরিয়ে বাবার সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই। পরবর্তীতে পড়াশোনার জন্য কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িতে দেয়। তাহলে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে।”
অন্যদিকে কাকলির মা বলেন, “আমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে বিদ্যালয়ের প্রথম হইছে। মেয়ের স্বপ্ন পূরণের পথে আর্থিক প্রতিকূলতা রয়েছে। তবে কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িতে দেয় তাহলে খুব উপকৃত হব। অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা শেখানো হচ্ছে। মাঝে মধ্যে লোন নিয়ে মেটাতে হচ্ছে। সরকারিভাবে যদি কোনও সাহায্য পাওয়া যায় তাহলে খুব ভাল হয়।”
অনির্বাণ রায়





