এই অর্ধসমাপ্ত ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টগুলির কাজ নতুন করে শুরু করার জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ পুরকর্তা এবং এসজেডিএ'র কর্তাদের উপস্থিতিতে নৌকাঘাটে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। সেখানে মেয়র গৌতম দেব বলেন, কলকাতা থেকে টেন্ডার করে এজেন্সিকে কাজ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় এসটিপি'র কাজ শেষ করার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৪৮ কোটি টাকা খরচ হবে। তৃতীয় এসটিপি'র জন্য প্রথম পর্যায়ে ১৮ কোটি টাকা খরচ হবে। সুডা থেকে ফান্ড মিলেছে। সেখান থেকেই খরচ করে কাজ শেষ করা হবে। মোট ২৭৪ কোটি টাকার কাজ হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: দু'বছর আগে সেতু ভেসে যায় বন্যার জলে, চরম সমস্যায় দিন কাটছে শতাধিক গ্রামের মানুষের
রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির কাজ মাঝপথে থমকে যায়। ওই সময় এসজেডিএ-তে ২০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিলিগুড়ি শহরের সমস্ত নিকাশিনালার জল পাইপের মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে এনে শোধন করে মহানন্দায় ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেইমতো ফুলবাড়িতে একটি, নৌকাঘাট মোড়ে একটি এসটিপি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু গত ৯ বছর ধরে কাজ বন্ধ থাকায় দূষণ কমার বদলে মহানন্দার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল ওই দুটি এসটিপি। একের পর এক সামগ্রী সেখান থেকে চুরি হচ্ছিল। জুয়া এবং মদের আসর বসত এই এসটিপিগুলিতে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া হয় এবং এসটিপি'র কাজ নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমত আম্রুত-২ প্রকল্পের আওতায় কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়। কেএমডিএ-কে দিয়ে কাজ করানো হবে এবং শিলিগুড়ি পুরনিগম সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। প্রথম পর্যায়ে ৬৪ কোটি টাকা খরচ করে দুটি এসটিপি'র অর্ধসমাপ্ত কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই টেন্ডার করে এজেন্সিকে কাজ দেওয়া হয়েছে। গৌতম দেব বলেন, আমরা এসটিপি-১ এর জন্য জমি খুঁজছি। তিনটি জায়গা বাছা হয়েছে। কেএমডিএ তার মধ্যে একটি জায়গা চূড়ান্ত করবে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জমি চূড়ান্ত করা হবে।
অনির্বাণ রায়