এককালে মাওবাদীদের আতঙ্কে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছিল এই এলাকা। ধীরে, ধীরে মাও আতঙ্ক কাটিয়ে আবারও পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে দুয়ারসিনিতে। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে বহু পর্যটকদের দেখা যাচ্ছে দুয়ারসিনিতে পিকনিক করতে ও বেড়াতে আসতে।
আরও পড়ুনঃ মালভূমির মাটিতে সুন্দরবন! পর্যটন মানচিত্রে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পুরুলিয়ার নয়া এই ডেস্টিনেশন
advertisement
ভিন জেলা থেকেও অনেক পর্যটক আসতে শুরু করেছে এখানে। পর্যটনের পরিকাঠামোগত কিছু ঘাটতি থাকার জন্য বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। এ বিষয়ে সরকার যদি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার আবেদন রেখেছেন দুয়ারসিনিতে বেড়াতে আশা পর্যটকেরা। পাশাপাশি দুয়ারসিনিকে সুন্দরভাবে সাজানোর আবেদন তাঁদের।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং-সিকিমে তুষারপাতের সম্ভবনা, আজ মরশুমের শীতলতম দিন
এককালে মাও আতঙ্কে দুয়ারসিনির নাম শুনলে ভয় কেঁপে উঠতেন পর্যটকেরা। প্রায় দিনই রাতের বেলায় শোনা যেত পুলিশের ভারী বুটের শব্দ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আজ সে সব ঘটনা অতীত হয়েছে। মাও আতঙ্ক অনেকটাই কেটে গিয়েছে জঙ্গলমহলের দুয়ারসিনিতে। এ বার দুয়ারসিনিতে পরিকাঠামগত উন্নতি কবে হবে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা।
উল্লেখ্য, দুয়ারসিনি ছিল দক্ষিণ বঙ্গের এক বিশেষ আকর্ষণ। পাহাড়ের ওপর ছিল ভ্রমণার্থীদের থাকার ছোট ছোট কয়েকটা কটেজ। এ ছাড়াও পাহাড় ও পাহাড় ঘেরা জঙ্গল আকৃষ্ট করত ভ্রমণ পিপাসুদের। রাজ্যে অস্থিরতার সময় ওই সমস্ত কটেজগুলো ভেঙে এবং পুড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। দীর্ঘদিন পর্যটক বিমূখ ছিল এই দুয়ারসিনি।রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর ধীরে ধীরে শান্তি ফিরেছে এলাকায়। ফের আনাগোনা শুরু হয়েছে পর্যটকদের।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি