জাতিসত্তার পরিচয় নিয়ে কিছু মাস আগেই আন্দোলনে নেমেছিলেন কুড়মিরা, তার পরে আন্দোলন উঠলেও এখনও তারা একাধিক দাবি নিয়ে অবিচল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ইস্যু নিয়ে খোঁচা দিয়ে বলেন, “কুড়মিদের জাতিসত্তার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পাঁচ বছর হয়ে গেল, প্রধানমন্ত্রীর কথা ছেড়ে দিন, এলাকার সাংসদ যিনি ২ লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছেন, তিনিও একটা কিছু করেননি।” পাশাপাশি পুরুলিয়ার বিদায়ী সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোকে আক্রমণ করে বলেন, “কোভিডের সময় সাংসদ পলাতক। এক বছরে ১০ মাস পরে থাকে রাঁচীতে। আর এখন ভোট চাইতে এসেছে।”
advertisement
দেশ জুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সওয়াল করেছেন বিজেপির নেতারা। সেই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বলেন, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে আদিবাসী, কুড়মি, ভূমিজ, তফসিলি মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আদিবাসীদের জঙ্গলের অধিকার চলে যাবে।”
‘কেন্দ্রের বঞ্চনা’ নিয়ে অন্যান্য দিনের মতোই তুলিনের সভা থেকে এ দিন সরভ হয়েছেন তৃণমূলের সেনাপতি। তিনি বলেন, “বাংলা জুড়ে ৫৯ লক্ষ মানুষের ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে রেখেছে বিজেপি।” রাজ্যের বিরোধীদের সন্দেশখালি ‘অস্ত্র’কে ভোঁতা করা জন্য এ দিনও স্টিং অপারেশনকে হাতিয়ার করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সন্দেশখালি-প্রসঙ্গে অভিষেকের আক্রমণ, “এর সন্দেশখালি নিয়ে চিৎকার করত। একটা দল এত নিম্ন মানের হতে পারে, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে মহিলাদের সম্মান, সম্ভ্রম দিল্লির কাছে ছোট করেছে জ্যোর্তিময় সিং মাহাতোর দল।”
পুরুলিয়ার ভোটারদের উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, “বাংলার টাকা আটকে রেখে, এখন ভোটের সময় টাকা দিচ্ছে। পদ্মফুলের থেকে টাকা নেবেন আর জোড়া ফুলে ভোট দেবেন।” এ দিনের সভায় বিজেপিকে নেংটি ইঁদুর বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে সাধুবাবা আপনারা (জনতা)। নেংটি ইদুর হল বিজেপি। তাকে আপনারাই বিড়াল থেকে কুকুর হয়ে বাঘ করেছেন। এখন বাঘ হয়ে আপনাদের খেতে আসছে। এদের ফের নেংটি ইদুর করার দায়িত্ব আপনাদের।”