পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাংলার জেলায় জেলায় অশান্তির ঘটনা বাড়ছে। প্রায় নিয়মিত বোমা-বন্দুক উদ্ধার হচ্ছে। এরই মাঝে শুক্রবার সন্ধেয় পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তরুণ সিপিএম নেতা। বান্দোয়ানের ঘাগরজুড়ি মোড়ের কাছে সিপিএম নেতা কৃষ্ণপদ টুডুর উপর গুলি চলে। তিন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাঁকে গুলি করেন। ওই সিপিএম নেতার বাঁ হাতে দুটো ও ডান হাতে একটি গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
advertisement
গুলিবিদ্ধ কৃষ্ণপদ টুডু সিপিএমের বান্দোয়ান এরিয়া কমিটির সদস্য। সেইসঙ্গে দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যও তিনি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেয় কুচিয়া এলাকায় একটি দলীয় বৈঠক সেরে মাকপালী গ্রামে তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন কৃষ্ণপদ। সেই সময়ই ঘাগরজুড়ি মোড়ে তাঁর উপর হামলা হয়।
আরও পড়ুন: আপেল কুলে জব্দ হবে 'খুনে' হাতি! প্রাণ বাঁচাতে কাঁটা ঝোপের শরণাপন্ন চাষি
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতদের মধ্যে শম্ভুনাথ হেমব্রম দাবি করেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ টুডু। কিন্তু চাকরি হয়নি। সেই রাগ থেকেই তিনি গুলি চালিয়েছেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিপিএম নেতাকে গুলি করার অভিযোগে তিন দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধরা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ের কারণেই এই ঘটনা।
যদিও এই বিষয়ে সিপিএমের পক্ষ থেকে দলীয়ভাবে এখনো কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই শুট আউটের ঘটনা সিপিএম নেতাকর্মীদের মনে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। উল্লেখ্য, একসময় এই পুরুলিয়া জেলাতেই মাওবাদীদের হাতে বেশ কিছু বাম নেতাকর্মীকে খুন হতে হয়েছিল।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি