১৯৮৩ সালের পর সন্তোষ কুমার ঘড়ার বিপক্ষে কোনও প্রার্থী ভোটে জিততে পারেননি। প্রথমে কংগ্রেস এবং পরবর্তীতে তৃণমূলের হয়ে টানা ৮ টি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। এর আগে সাতবার পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের শান্তিপুর-২ পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর বুথ থেকে জয়ী হন তিনি। সংরক্ষণের গেড়োয় একবার মাত্র কাছের বুড়াড়ি বুথ থেকে ভোটে জেতেন সন্তোষবাবু। নয়ের দশকে তিনি একবার পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছিলেন। এরপর টানা উপ-প্রধানের দায়িত্ব সামলে এসেছেন বিদায়ী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা।
advertisement
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল চলন্ত গাড়ি!
৮৫ বছর বয়স হলেও সন্তোষ কুমার ঘড়া মনে এখনও নবীন। চলাফেরায় যথেষ্ট সক্ষম। এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে প্রচার করেছেন তিনি। তিন ছেলে ও তিন মেয়ে, নাতি নাতনিদের নিয়ে ভরা সংসার। ছেলেদের মধ্যে একজন রামকৃষ্ণপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাকি দুই ছেলের পাশাপাশি এক মেয়েও পুলিসে কর্মরত। এক জামাই হাইকোর্টের বিচারপতি। এমন একটি প্রতিষ্ঠিত পরিবারের গৃহকর্তা সন্তোষবাবু কিছু পাওয়ার আশায় নয়, মানুষের পাশে থাকার নেশায় এই বয়সে এসেও রাজনীতি করে চলেছেন।
১৯৮৩সালে প্রথমবার কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। সেই শুরু। তারপর আরও দু’বার কংগ্রেসের টিকিটে পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছেন। এরপর ৯৮ সালে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। সেই থেকেই টানা চারটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছেন। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতায় এবারই ছেদ পড়ল।
ট্রিপিল হ্যাটট্রিকের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে সন্তোষ কুমার ঘড়ার অভিযোগ, গ্রামের সিপিএম সমর্থকরা তাঁকে হারানোর জন্য বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। সেই কারণেই তিনি লক্ষ্য ছুঁতে পেলেন না। এদিকে এই অভাবনীয় জয়ের পর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
সৈকত শী