রসগোল্লা একান্ত পশ্চিমবঙ্গের কিনা তা নিয়ে বিস্তর টানাপোড়ন ওড়িশার সঙ্গে। রসগোল্লা ওড়িশার জগন্নাথ দেবের ভোগের জন্য প্রথম তৈরি হয়েছিল নাকি বাংলার নবীন ময়রা প্রথম বানিয়েছিল রসগোল্লা তা নিয়ে বিস্তর টানাপোড়ন চলে। বাংলা সাহিত্য ও সিনেমায় রসগোল্লা বারবার উঠে এসেছে। নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমার বিখ্যাত গান 'আমি কলকাতার রসগোল্লা' এখনো মানুষের মুখে মুখে ঘুরে। রসগোল্লা বানানোর ইতিহাস নিয়ে তৈরি হয়েছে আস্ত একটা বাংলা সিনেমা। রসগোল্লা নিয়ে টানাপড়েন যাই থাক না কেন। রসগোল্লা প্রেমে পড়েনি এমন মানুষ খুবই কমই আছে বাংলা ও বাংলা বাইরে দেশের অন্যান্য রাজ্যে। এমনকি বিদেশী পর্যটকরা কলকাতায় এলে কলকাতার রসগোল্লা স্বাদ না চেখে ক্ষান্ত হন না। কেন রসগোল্লা নিয়ে আস্ত একটা দিন উদযাপন সাম্প্রতি অতীতে শুরু হয়েছে।
advertisement
১৪ নভেম্বর রবিবার পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি রাজ্যজুড়ে পালন করে রসগোল্লা দিবস। পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর শাখার সদস্যরা এদিন জেলাজুড়ে রসগোল্লা দিবস উদযাপন করে। কিন্তু কেন এই রসগোল্লা দিবস! এর উত্তরে সমিতির সদস্যরা জানান, রসগোল্লা জিআই প্রাপ্তি নিয়ে দুই পড়শি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মধ্যে টানাপোড়নে শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ রসগোল্লার জিআই প্রাপ্তি লাভ করে। দু'বছরের টানাপোড়েনের শেষে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর রসগোল্লার জন্য পশ্চিমবঙ্গ জিআই প্রাপ্তি লাভ করে। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে প্রতিবছর রসগোল্লা দিবস উদযাপন করে আসছে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি।
পশ্চিমবঙ্গ ব্যবসায়ী সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর শাখার সদস্যরা পূর্ব মেদিনীপুরে বিভিন্ন জায়গায় পথচলতি মানুষকে বিনে পয়সায় রসগোল্লা খাইয়ে এই দিনটি উদযাপন করে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, মেচেদা, রামতারক, তমলুক নন্দকুমার ও হলদিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় পথ চলতি মানুষদের বিনামূল্যে রসগোল্লা বিতরণ করে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় কুড়ি হাজার রসগোল্লা বিতরণ করা হয় পথচলতি মানুষের মধ্যে। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির উদ্দেশ্য হল ১৪ নভেম্বর রসগোল্লা জিআই প্রাপ্তি লাভ করে তাই দিনটিকে স্মরণ রাখতে এই উদ্যোগ।