পলাশীর যুদ্ধের পর স্বাধীন ভারতের সূর্য অস্তমিত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য করার ছাড়পত্র পায়। ধীরে ধীরে বাংলার শাসন ব্যবস্থা তথা ভারতের শাসনব্যবস্থা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে চলে যায়। ১৭৭২ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলার গভর্নর জেনারেল হয়ে আসেন ওয়ারেন হেস্টিংস। তিনি প্রথম ব্রিটেনের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্যোগী হন। ১৭৭২ সালে খেজুরির বন্দর অফিসের দোতলায় প্রথম ডাকঘর ব্যবস্থা প্রচলন করেন। তখনো ডাকটিকিট প্রচলিত হয়নি। সি পোস্টেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। ১৮৬৪ সালে ডাকঘরটি বন্ধ হয়ে যায়। ওই বছর প্রবল ঝড় ও বন্যায় খেজুরি বন্দরটি ধ্বংস হয়ে যায়। তারপর থেকেই পোস্ট অফিসের জন্য ব্যবহৃত ঘরটি, ঝোপঝাড় আগাছায় জঙ্গলে ভরে যায়। বর্তমানে তা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
advertisement
ইতিহাস প্রসিদ্ধ খেজুরির এই স্থান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটন মানচিত্রে অবহেলিত। খেজুরির সেই পুরনো ডাকঘর, যা ভারতের প্রথম ডাকঘর, সেই জায়গায় বর্তমানে ফরেস্ট রেঞ্জার অফিস রয়েছে। ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট থেকেই একটি পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থানটি বা ভারতের এই প্রথম ডাকঘরটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি পর্যটন দফতর। পর্যটন মানচিত্রে অবহেলিত হওয়ার কারণেই মানুষ ভুলতে বসেছে ভারতের প্রথম ডাকঘরের নিদর্শন।