#খেজুরি: খেজুরি এক নম্বর ব্লকের প্রয়োজনীয় অনুমোদন আছে বলে, বেশ কয়েকটি রাইস মিল কলাগেছিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি বিগত বছরের কৃষকদের কাছ থেকে সংগৃহীত ধানের প্রায় কোটি টাকা পাওনা না মেটানোয়, চাষিদের মধ্যে অসন্তোষ চরম আকার ধারন করেছে। বিগত মরশুমে কলাগেছিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ওঙ্কার রাইস মিল ও মা নমিতা রাইস মিলের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা মূল্যের ধান ক্রয় করে। কলাগেছিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ও রাইস মিলের সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। (East Medinipur News)
advertisement
ধান সংগ্রহের জন্য রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কর্তৃপক্ষ কলাগেছিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিকে জানায়। সেই ভরসায় সমবায় সমিতির কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করে রাইস কর্তৃপক্ষকে যোগান দেয় (East Medinipur News)। কলাগেছিয়া সমবায় সমিতির মোট পাওনা দাঁড়ায় ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। পরে জানা যায়, ঐ রাইস মিল, কর্তৃপক্ষের ধান সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমোদন নেই। স্বাভাবিকভাবেই সমস্ত টাকা রাইস মিল কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে।
সরকারিভাবে অর্থ না পাওয়ার খবর পেয়ে সমিতি কর্তৃপক্ষের মাথায় হাত (East Medinipur News)। রাইস মিল কর্তৃপক্ষ পরে কলাগেছিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিকে ৫০ লক্ষ টাকা শোধ দেন। এখনও সমবায় সমিতির পাওনা ৯৪ লক্ষ টাকা। কলাগেছিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির কর্মকর্তাদের ঘটনা সবিস্তারে উল্লেখ করে, মিল মালিকের কাছ থেকে বকেয়া ৯৪ লক্ষ টাকা আদায়ের জন্য রাজ্য সরকার মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন প্রমুখের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেন। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করে ই - মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন। রাইস মিল ও কলাগেছিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির কারণে সমস্যায় পড়েছে খেজুরি এক নম্বর ব্লকের বেশকিছু ধান চাষিরা (East Medinipur News)।
Saikat Shee