সরকারি স্কুলে শিশুদের মানসিক গঠন নিয়ে এতটা সচেতনতা এর আগে দেখা যায়নি। যদিও পরিবেশগত ও সামাজিক নানা বিষয় বড়দের পাশাপাশি শিশু মনেও প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি শিশু মনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন মনোবিদরা। হলে বহু শিশুর বড় হওয়াটা কেমন যেন ঘেঁটে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জামালপুরের বাণী বিদ্যাপীঠ ৫০ পেরোল, চলছে সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠান
advertisement
শিশুদের মানসিক বিকাশ সুস্থভাবে হওয়া দেশ বা সমাজের পক্ষে লাভজনক। এদিকে শিশু মনের বিকাশে প্রাথমিক স্কুলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সেখানে কোনও সমস্যা থাকলে শিশুদের বেড়ে ওঠাটাই বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই কতগুলি বিষয় নিয়ে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও সচেতন থাকতে হয়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিবারের মানুষজন ও অভিভাবকদের এই বিষয়ে যথেষ্ট শিক্ষা না থাকায় শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
আর তাই বাড়িতে ও স্কুলে কীভাবে শিশুদের মানসিক বিকাশ সম্ভব তা নিয়েই এই আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপিকা সংঘমিত্রা অট্ট। তিনি জানান, করোনা মহামারীর পর শিশুরা বই বিমুখ। মোবাইলে সময় কাটানোর প্রবণতা বেড়েছে। এর ফলে তারা স্কুলে আসতেও ভয় পাচ্ছে। বাড়িতে শিশুদের মোবাইল দিলেও খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন তাদের বয়স অনুযায়ী বিষয়বস্তুই মোবাইল থেকে গ্রহণ করে। বড়দের বিষয়বস্তু দেখার প্রতি ছোটদের একটা কৌতূহল থাকে, কিন্তু সেটা থেকে তাদের আটকাতে হবে। পাশাপাশি অনেক ঠান্ডা মাথায় শিশুদের অভাব অভিযোগ শোনা উচিৎ বলেও তিনি জানান।
সৈকত শী





