আরও পড়ুন Hooghly News: হুগলিতে বন্দেভারতে ছোঁড়া হল পাথর, জানলার কাঁচ চূড়মার
এককালে নিজের কারণে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে ভারতছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন হলে শাঁখ বাজিয়ে স্বাধীন ভারত ভূমিকে বরণ করেছিলেন তিনি। সেই লক্ষ্মীবালা দেবী বয়স কেয়ার না করেই সংসারে কারও কাছে বোঝা হতে চায় না। এই বয়সেও তিনি হাটে বসে আনাজ বিক্রি করেন। পাঁচ কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী তিনি। পুত্রের বয়স মাত্র যখন মাত্র ৭ বছর তখন তিনি স্বামী হারা হন। ফাটে সবজি বিক্রি করি তিনি পাঁচ মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তৈরি করেছেন পাকা বাড়ি। লক্ষ্মীবালা দেবীর স্মৃতিতে আজও লাল মুখো ইংরেজদের অত্যাচারের কাহিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন East Medinipur News: ঠিক যেন অপরূপ ডিজাইন করা গয়না! সোনার বদলে ডালের, তৈরি করার পদ্ধতি দেখুন
বয়সের কারণে কানে কম শুনেন, চোখেও অনেকটাই কম দেখেন। হাঁটতে পারেন না ঠিকঠাক তবুও হাটে সবজি বিক্রি করা ছাড়েননি। বর্তমানে ছেলে নাতিরা মানা করলেও তিনি সবজি বিক্রি ছাড়েননি। তার এই হার না মানা জেদের কাছে হার মেনেছে ছেলে। কোলাঘাটের বাজারে ছেলে গৌরের চা দোকান রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে হাটবারের দিনগুলিতে লক্ষ্মীবালা দেবী ছেলের সাইকেলে করে ভোর ৩ টায় হাটে আসেন।
স্থানীয় চাষীদের কাছ থেকে শাকসবজি আনাজ কিনে নিয়ে, হাটে বসে দুপুর পর্যন্ত কেনাবেচা করেন। লক্ষী বালা দেবীর এই বয়সে হাটে বসে শাক সবজি বিক্রি করা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা অসীম দাস জানান, '১০২ বছর বয়সেও একজন মানুষ সংসারে বোঝা হতে চাইছেন না। তার এই হার না মানা জেদ অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।' জীবন সংগ্রামে অনেক নারীর কাহিনী আমরা শুনতে পাই কিন্তু কোলাঘাটের লক্ষ্মীবালা দেবীর জীবন সংগ্রাম সবকিছুকে ছাপিয়ে।
Saikat Shee