আরও পড়ুন: জানেন কি, স্বাধীন ভারতে এখনও আছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাস্তা!
গত মাসে এই প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর প্রতারিতরা পূর্বস্থলী থানায় ১৯ জনের নামে এফআইআর করেছিলেন। তদন্তে নেমে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ প্রথমে মগরাহাট থেকে অন্যতম অভিযুক্ত সুকান্ত নস্করকে গ্রেফতার করে। তার একদিন পরই গ্রেফতার করা হল এই প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা, পেশায় পশু চিকিৎসক সন্দীপ সেনকে।
advertisement
প্রতারিতদের থেকে জানা গিয়েছে, তামাঘাটা এলাকার বাসিন্দা পেশায় গরুর ডাক্তার সন্দীপ সেন সাত দিনে টাকা ডবল করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকার গরিব মানুষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ওই অ্যাপের মাধ্যমে তোলে করে। প্রথমদিকে কিছু টাকা ফেরত দিলেও পরবর্তীতে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়ে ওই গরুর ডাক্তার সহ টি অ্যান্ড জি গ্লোবাল সার্ভিস অ্যাপের সকলে গা ঢাকা দেয়। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ পরপর দু’জন গ্রেফতার হওয়ায় খোয়া যাওয়া টাকা ফেরতের আশা দেখছেন প্রতারিতরা।
এদিকে গ্রেফতার হওয়ার পর চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ধৃত সন্দীপ সেন। তিনি বলেন, ভারত সরকারের টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট তাঁদের এই অ্যাপ চালানোর অনুমতি দিয়েছিল। আরও জানিয়েছেন, পূর্বস্থলী-২ এর বিডিও অফিসের বেশ কয়েকজন অফিসার এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। সরকারি আধিকারিকদের একাংশের এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলায়।