ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাট শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়া এলাকার। তবে প্রতিবেদনের শুরুতেই বলেছিলাম সুবিধা এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে অসুবিধা। এই কথা বললাম তার একটা কারণ রয়েছে। কী এই কারণ? দেখুন কী বলছেন স্থানীয়রা, আমরা এখন দাঁইহাট ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। যখন ব্রিজ ছিল না তখন আমাদের এই দিকেই যাতায়াত হত। রেল থেকে বললেন যে আমরা ব্রিজ করে দেব আপনাদের এই দিকে যাতায়াতের সুবিধা হবে । কিন্তু সুবিধার থেকে অসুবিধা বেশি হয়েছে দুই দিকে যা জমি ছিল সবই শেষ হয়ে গেছে। চাষিরা চাষবাস করতে পারে না। সব থেকে বড় কথা আমাদের সমস্ত জিনিসটাই শেষ হয়ে গেল।
advertisement
আরও পড়ুন- চরম ঘনিষ্ঠতায় মত্ত সলমন! সোমির সঙ্গে হাতেনাতে ধরে ফেলেন সঙ্গীতা, পরের ঘটনা শুনলে আঁতকে উঠবেন
জানা গেছে দাঁইহাটের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দারা, যখন রেল ব্রিজ ছিলনা তখন সাধারণ ভাবেই যাতায়াত করতেন। কিন্তু রেল থেকে স্থানীয়দের সুবিধার্থে তাদের জন্য আন্ডার পাশের ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু বর্তমানে সেই আন্ডারপাসে বৃষ্টি হলেই হয়ে যাচ্ছে এক বুক জল । যে কারণে ব্রিজের উপর দিয়েই কষ্ট করে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। আবার এই জমা জলে পাড়ার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্নান করতে চলে আসছে । তাদের গার্জেনদের দাবি, এই জমা জলের কারণে বাচ্চাদের বিপদ ঘটে যেতে পারে । এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক অভিভাবক জানান,
রেল যা করে দিয়ে গিয়েছে এতে আমাদের বেশি সমস্যা। আমাদের ছোট ছোট বাচ্চারা চলে আসছে জলের মধ্যে। আমার নিজের নাতনি, আছে ভাইয়ের মেয়ে আছে, পাড়া-প্রতিবেশীরা আছে তাদেরও ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এখানে চান করতে আসে। ওরা ছোট, যখন তখন ডুবে গিয়ে বিপদ ঘটে যেতে পারে। আমরা চাইছি যাতে এই জলটা না থাকে এবং যেতে পারি ওপারে ।
আরও পড়ুন- শুধু বসে থাকলেই কমবে কোলেস্টেরল! মাত্র ৭ দিনেই ম্যাজিকের মতো ঝরবে ওজনও, জানুন কী করবেন
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন এই রাস্তা তৈরি হওয়ার পর থেকেই এই অবস্থা। এমনকি এই রাস্তায় একটা লাইট পর্যন্ত নেই । সন্ধ্যে হলে কেউ আর এই রাস্তার সামনেও আসতে পারেনা । রীতিমতো ব্যাপক সমস্যায় রয়েছেন এই এলাকার স্থানীয়রা। তারা চাইছেন অতি সত্বর এর একটা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী