ঘটনার ১০ দিন পর প্রকাশ্যে এসেছে রাজু ঝাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার দৃশ্য। ভাইরাল হওয়া ভিডিও সিসি ক্যামেরার অরিজিনাল বা 'র' ফুটেজ নয়। অরিজিনাল বা 'র' ফুটেজ কোনও মনিটরে প্লে করে তা থেকে ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। তাতে অবশ্য ঘটনার ভয়াবহতা কম কিছু নেই। এই ছবিতেই স্পষ্ট, রাজুকে খুন করতে কম দামি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিল দুষ্কৃতীরা। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া শার্প শ্যুটাররা কেন এই অস্ত্র ব্যবহার করল, সে প্রশ্ন তদন্তকারী অফিসারদেরও।
advertisement
আরও পড়ুন: গলায় গলায় ভাব, সেই বন্ধুর হাতেই কি না এমন পরিণতি যুবকের! শিউরে উঠল শক্তিগড়
গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হন বেআইনি কয়লা কারবারের কিং রাজু ঝা। ভাইরাল হওয়ার ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সাদা রংয়ের চারচাকা গাড়িটি জাতীয় সড়কের কলকাতামুখী লেনে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাজুর সর্বক্ষণের সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নেমে ঝালমুড়ি কিনছেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে সাদা গাড়ির মালিক, গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ ও তার গাড়ির চালক শেখ নুর হোসেন।
আরও পড়ুন: লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ! ধৃত ভুয়ো 'সিবিআই অফিসার'! পানশালার লাইসেন্স দেওয়ার নামে প্রতারণা
রাজু গাড়ি থেকে নামেননি। সামনের সিটেই বসেছিলেন। ঝালমুড়ি কিনে ব্রতীন চালককে কিছু কিনে আনতে বলেন। চালক দৌড়ে তা কিনতে যায়। ঝালমুড়ি খেতে খেতে গাড়ির পিছনের সিটে গিয়ে বসেন লতিফ ও ব্রতীন। ইতিমধ্যে একটি নীল রংয়ের গাড়ি কলকাতার দিক থেকে ব্যাক করে এসে রাজুদের গাড়ির পাশে দাঁড়ায়।
কিছুক্ষণের মধ্যে দুই শার্প শ্যুটার নীল গাড়ি থেকে নেমে আসে। রাজু গাড়ির যেদিকে বসেছিল সেই দরজার বাইরে থেকে পর পর গুলি ছুড়তে থাকে তারা। কালো পোশাকে থাকা শ্যুটার সাদা গাড়ির পিছন দিক দিয়ে গিয়ে তাদের গাড়িতে চাপে। আর আর একজন কয়েকটি গুলি চালিয়ে নীল গাড়ির দিকে এগিয়ে যায়। আবার ফিরে এসে রাজুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তদন্তকারীদের অনুমান, মৃত্যু নিশ্চিত করতেই দ্বিতীয় বার গুলি চালানো হয়। শুধু তাই নয়, গুলি চালানোর সময় আটকে গিয়েছিল বন্দুক। তা আবার কাজ করছে বুঝেই ফিরে এসে কাছ থেকে গুলি চালায় ওই দুষ্কৃতী।