বিডিও দেবব্রত বাবুর কথায় ওই এলাকায় আপাতত একজনই এই চাষ করছেন, অন্য রকম চাষ করায় তিনি বার্ষিক ভালোই লাভের মুখ দেখেছেন। আর এখন রেশমের ভালোই বাজার রয়েছে। তাই অন্যান্য চাষিরাও যদি এগিয়ে আসে তাহলে তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত প্রশাসন। রেশম চাষি উমেশ চন্দ্র বাবুর কথা এই এলাকায় আপাতত তিনি চাষ করছেন। আরও চাষীরা যদি আগ্রহী হন তাহলে এই গুটিগুলিতে বাজারজাত করার জন্য বাইরে যেতে হবে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সেরা পুলিশ ইউনিটের সম্মান পেল জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ
এখান থেকেই অন্য চাষিরা এগুলি কিনে নিয়ে যাবেন, পাশাপাশি তিনি তাঁর চাষ আরও বাড়ানোর জন্য সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, রেশমপোকার গুটি থেকে তৈরি সুতা দিয়ে বোনা একপ্রকার সূক্ষ্ম ও কোমল তন্তু। বাংলায় দীর্ঘদিন থেকে চার ধরনের রেশম তৈরি হয়ে আসছে।৮ দিনের মধ্যে গুটির ভেতর শুককীট পিউপায় পরিণত হয়। পিউপায় পরিণত হওয়ার পূর্বেই কোকুন গরম পানিতে সিদ্ধ করে ভেতরের পোকাটি মেরে ফেলতে হয়। এই কোকুন থেকেই রেশম সুতা সংগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ২২০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন মুম্বই, দেখা করবেন অক্ষয় কুমারের সঙ্গে!
পূর্ণাঙ্গ পিউপা মথে পরিণত হয়ে গুটির প্রান্ত ছিদ্র করে যদি বের হয়ে আসে তবে সুতার ধারাবাহিকতা ছিন্ন হয় এবং রেশম সুতার গুণগত মান হ্রাস পায়। দু থেকে ছটি গুটির ভেতরের সুতা একত্রিত করে একটি রিল তৈরি করা হয়। বাইরের পরিত্যক্ত সুতোগুলি পাকিয়ে স্প্যান সিল্ক প্রস্তুত করা হয় যার দ্বারা তৈরি হয় মটকা জাতীয় সিল্ক।
Malobika Biswas