লাগাতার চুরির ঘটনা সামনে আসছে বর্ধমান শহরে। আতঙ্কিত মানুষজন, চিন্তিত প্রশাসন। বিগত কয়েক দিনে একাধিক চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়েও তান্ডব চালাচ্ছে দুষ্কৃতীর দল। এ নিয়ে চলছে বিশেষ নজরদারি, হচ্ছে পিকেটিং। ইতিমধ্যেই গাড়ি এবং শহরে ঢোকা মানুষকেই পরীক্ষা করছে পুলিশ। চলছে নাকা চেকিং। স্টিকার লাগানো গাড়ি সন্দেহজনক লাগলেই, আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে চালককে। ছলচাতুরি করে যাতে কেউ জেলায় প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য কড়া নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
advertisement
সম্প্রতি বর্ধমান শহরের একটি সরকারি আবাসনে চুরির ঘটনা ঘটে। পরপর পাঁচটি চুরির ঘটনা সামনে আসে এই আবাসন থেকেই। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়েই, দুষ্কৃতীরা প্রবেশ করছিল আবাসনে বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে আবাসনের একটি বাড়িতে চুরি হয়। বারান্দার দিকে দরজা ভেঙে লুটপাট চালায় দুস্কৃতিরা। অন্য একটি বাড়িতেও চুরির চেষ্টা হয়। আবাসনের বাসিন্দা অমিত গিরি নামে একজনের বাড়িতে চুরি হয়। তিনি বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার জুনিয়র টাউন প্ল্যানার পদে রয়েছেন বলে জানা যায়। তিনি শুক্রবার রাতে কলকাতার মহেশতলায় নিজের বাড়ি গিয়েছিলেন। রবিবার রাতে প্রতিবেশীরা দেখেন, অমিতবাবুর বাড়ির দরজা ভাঙা। খবর পেয়ে সোমবার সকালেই বর্ধমানে ফিরে আসেন অমিতবাবু। এসে দেখেন, বারান্দার দিকে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দুস্কৃতিরা লুটপাট চালিয়েছে। এ বিষয়ে অমিতবাবু বলেন, সব মিলিয়ে তার লক্ষাধিক টাকার চুরি হয়েছে। অন্যদিকে, আর তিন ব্লকেও একটি বাড়িতে চুরির চেষ্টা হয়। বাড়ির মালিক ভরত মন্ডলের দাবি তাঁর বাড়ি থেকে কিছু চুরি যায় নি।
আবাসনের বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা ঠিক করে কাজ করে না। সরকারি আবাসনে যদি এভাবে চুরি হয়, তাহলে তাদের নিরাপত্তা কোথায়? এরকম একাধিক অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
গত এক সপ্তাহে বর্ধমান শহরের একটি আবাসনের তিনটি ফ্ল্যাট, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোনা গহনার পাশাপাশি বাইক চুরির ঘটনাও সামনে এসেছে। বর্ধমানের তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ফ্যান্সি মার্কেট এলাকা থেকে চুরি হয় বাইক।
এভাবে বারংবার জেলার একাধিক জায়গায় ঘটছে চুরির ঘটনা। দুষ্কৃতীদের ঠেকাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসনিক কর্তারা। তবে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য কমে কিনা, এখন সেটাই দেখার।