এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুচনা হয় মেলার (East Bardhaman News)। অনুষ্ঠান দেখতে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পাঠাগার প্রাঙ্গণেই হয় এই অনুষ্ঠান। রাতে আতশবাজি প্রদর্শনীও হয় এদিন। মেলা চলবে পাঁচ দিন ধরে। প্রতিবছরই সিঙ্গি কাশীরাম দাস পাঠাগারে আয়োজিত হয় এই মেলা। ১৯৬২ সালে বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে মেলাটি শুরু হয়। তখন ছোট করে বৈশাখ মাসে হত। তবে সিঙ্গি কাশীরাম দাস পাঠাগারে, কমিটির সদস্যরা গত ২৬ বছর ধরে, কাশীরাম দাসের নামে, গ্রামে মেলার আয়োজন করে আসছেন। করোনার কারণে যদিও ২০২১ সালে মেলা হয় নি। করোনা কিছুটা স্থিত হতেই এবছর হচ্ছে মেলা, অনুষ্ঠান।
advertisement
এই নিয়ে বিডিও বলেন, এই মেলাকে নিয়ে এলাকার মানুষদের আবেগ রয়েছে। আগামীতে সিঙ্গি এলাকায় ভালো করে উন্নয়ন করা যায়, সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। (East Bardhaman News)
উল্লেখ্য, পূর্ব-বর্ধমান জেলার কাটোয়ার সিঙ্গি গ্রামের এক কায়স্থ বংশে জন্মগ্রহণ করেন কাশীরাম দাস। পিতার নাম কমলাকান্ত। তাঁর পৈতৃক উপাধি ছিল দেব। কাশীরাম দাস তাঁর কাব্যে বলেছিলেন, গুরু অভিরাম মুখোটির উপদেশেই তিনি কাব্যরচনায় প্রবৃত্ত হন। সেই বাড়িতে আগত কথক ও পণ্ডিতদের মুখে মহাভারতের গল্প শুনে তিনি মহাভারত রচনায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
Malobika Biswas