পূর্ব বর্ধমান: বৃষ্টিতে মাঠ ভিজতেই জোরকদমে চাষের কাজে নেমে পড়েছেন বাংলার ‘শস্যগোলা’ বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের কৃষকরা। এ বছর বর্ষা দেরিতে প্রবেশ করেছে। তার উপর প্রথম দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ পর্যাপ্ত ছিল না। তাই বীজ তৈরি হয়ে গেলেও জলের অভাবে মাঠ তৈরি করতে পারছিলেন না কৃষকরা। তবে পরপর দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে ঘাটতি অনেকটাই মিটেছে। মাঠ এখন জলে ভর্তি। পূর্ব বর্ধমানের রায়না, খণ্ডঘোষ, মেমারি, গলসি, ভাতার, আউশগ্রাম, কালনা, কাটোয়া সহ জেলার সব জায়গাতেই খারিফ চাষ শুরু হয়েছে। কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। এভাবে বর্ষা চললে ধান চাষে এবছর তেমন আর ভুগতে হবে না বলেই জানাচ্ছেন চাষিরা।
টানা বৃষ্টিতে চাষ শুরু হওয়া প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের এক চাষি বলেন, আমরা আগে বীজ ফেলেছিলাম। বৃষ্টির অভাবে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছিল ভেবেছিলাম হয়তো এই বীজ মাটিতেই মরে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে বৃষ্টি হওয়ায় আমরা বীজগুলোকে বাঁচাতে পেরেছি। এখন লাঙ্গল দিচ্ছি। এভাবে যদি বৃষ্টি হয় এবং প্রকৃতি সহায় হয় তাহলে চাষের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষি দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়েছে তাতে ঘাটতি পূরণ হয়নি। জেলায় ২০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি আছে। তবে গত দু’দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে মাঠ জলে ভর্তি হয়ে আছে। তাই চাষের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।