এই বিষয়ে চা বিক্রেতা পঞ্জাব শেখ বলেন, “আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি চেষ্টা করেছি। মনে করি এগুলো আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আমি বহু মানুষকে সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করার চেষ্টা করি। পরিবারের তরফ থেকে অনেক সাহায্য পাই। আর অনেক সাধারণ মানুষ আমাকে সাহায্য করেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।”
পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাটিকুড়ি এলাকার বাসিন্দা নীলিমা মণ্ডল। মাত্র ২৪ বয়সেই তিনি ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। পরিবারে রয়েছে তাঁর স্বামী এবং তিন বছরের বাচ্চা। আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ, কোনওরকমে চলছে তাঁর চিকিৎসা। ক্যানসার আক্রান্ত এই মহিলার খবর শুনে গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যানও তাঁর কাছে গিয়েছিলেন এবং সাহায্য করেছেন।
advertisement
তার পরই এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন চা বিক্রেতা পাঞ্জাব শেখ। নীলিমা মণ্ডল বলেন, “অপারেশনের পরে ছ’টা কেমো নেওয়া হয়েছে, এখনও বারোটা স্পেশাল কেমো নিতে হবে। ডাক্তারবাবুরা বলেছেন সেরে ওঠার চান্স আছে। এখনও ১০ বছর ওষুধ খেতে হবে। তবে আমার শরীর খুব খারাপ। একটা মেয়ে রয়েছে। সংসারের অবস্থা ভাল নয়। কেউ যদি সাহায্য করেন তাহলে তো অনেক উপকার হয়। পঞ্জাব দা এসে সাহায্য করলেন, খুব ভাল লাগল।”
চা বিক্রেতার এহেন কর্মকাণ্ড সত্যিই বেশ প্রশংসনীয়। খুব বেশি আর্থিক সাহায্য না করতে পারলেও তিনি তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়িয়েছেন। চা বিক্রেতা পাঞ্জাব শেখের কথায়, ‘‘বিপদের সময় মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’’