গুসকরা স্টেশন থেকে কয়েক মিনিট এগোলেই পড়বে দিগনগর দু'নং গ্রাম পঞ্চায়েত। তার সামনেই এই ডোকরাপাড়া। খুব বেশি মানুষ বসবাস করেন না এই জায়গায়। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান তিনি। নাম রামু কর্মকার তিনি পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
আরও পড়ুন : বারুইপুরের পেয়ারাকে টেক্কা! ফলের বাজার দখল করছে কে? জানলে চমকে যাবেন
advertisement
বর্তমানে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ২০১৪ সালে স্ট্রোক হওয়ায় ডোকরার কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। রামু কর্মকারের ছেলে ডোকরা শিল্পের কাজে মনোযোগ দেন সংসার চালাতে। রামু কর্মকার স্ট্রোকের কারণে এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। এখনও শরীরের একটা সাইড একটু দুর্বল। হাঁটতে এখনও সমস্যা হয় তাঁর। ফলে ডোকরা এর কাজ করেন না এখন।
আরও পড়ুন : চিনুন 'গরীবের ডাক্তার'কে! বিনামূল্যে চিকিৎসা করে নজির গড়লেন স্বপন রায়
বর্তমানে ছোট্ট একটা দোকান চালান তিনি। গ্রামেই রয়েছে তাঁর ওই ঘুমটি দোকান। সারাদিনে টুকটাক মুদি দোকানের সামগ্রী বিক্রি করে চলে সংসার। আর অন্যদিকে ছেড়ে ডোকরার সামগ্রী বিক্রি করেন পেটের দায়ে। ফলে সব মিলিয়ে কোনও রকমেই চলে সংসার। একসময় এই রামু কর্মকার গ্রামের বহু মানুষকে শিখিয়েছেন ডোকরার কাজ। কাজের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেলেও, আজ তিনি সবার চোখের আড়ালে। কেউ সেভাবে খোঁজ নেন না রামু কর্মকারেদের। ফলে এভাবেই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে শিল্প। ধীরে ধীরে হাড়িয়ে যাচ্ছে রামু কর্মকারের মতো শিল্পীরা।
Malobika Biswas