আজও হালখাতা হলেও মিষ্টির বাক্সে মিষ্টির থেকে বেশি জায়গা দখল করে থাকছে মুচমুচে স্ন্যাক্স, ভাজাভুজি, নানান ধরনের কেক-পেস্ট্রি। তেমনই প্রয়োজন কমায় বাংলা ক্যালেন্ডারের আকর্ষণও কমেছে গ্রাহকদের মধ্যে। আর তাই দোকানগুলি থেকেও ধীরে ধীরে উঠে যেতে শুরু করেছে বাংলা ক্যালেন্ডার। ফলে আজকাল হালখাতায় মিষ্টির বাক্স বা ফুট প্যাকেট দেওয়া হলেও অনেক দোকানই আর বাংলা ক্যালেন্ডার দেন না। যার অবধারিত প্রভাবে বিপুলভাবে কমে গিয়েছে বাংলা ক্যালেন্ডারের চাহিদা।
advertisement
আরও পড়ুন: রেশনে কারচুপির অভিযোগে গ্রাহকদের বিক্ষোভ, ছুটে এলেন ফুড ইন্সপেক্টর
তবে করোনার পরবর্তী পর্যায়ে গোটা ছবিটা যেন অনেক দ্রুত বদলে যায়। আর্থিক সঙ্কটে পড়ে বহু বাঙালি ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হোন। অনেকে টিমটিম করে দোকান চালিয়ে নিয়ে গেলেও আর্থিক সঙ্কটের কারণে হালখাতার বিপুল খরচ কমিয়ে ফেলেছেন। এইসবেরই প্রভাব পড়েছে বাংলা ক্যালেন্ডারের চাহিদার উপর। এমনিতেই আমাদের সমস্ত কাজকর্ম ইংরেজি ক্যালেন্ডারের দিন ধরে হয়। ধর্মীয় আচার-আচরণ, তিথি নক্ষত্র দেখার কাজেই মূলত ব্যবহৃত হয়ে থাকে বাংলা ক্যালেন্ডার। সব মিলিয়ে বাংলা ক্যালেন্ডার চাদিহা বিপুলভাবে কমে যাওয়ায় এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে।।
এই প্রসঙ্গে এক ক্যালেন্ডার ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বাংলা ক্যালেন্ডার ছাপাতে দেয় সোনার দোকানিরা। কিন্তু বর্তমানে তাতেও ভাঁটা পড়েছে। আর কতদিন ক্যালেন্ডার ছাপার ব্যবসা চালানো যাবে তা নিয়েই সংশয়ে এই ব্যবসায়ী। সময়ের বিবর্তনের ধারায় বাঙালির নানান ঐতিহ্য ক্রমেই বিলীন হচ্ছে। পুরনো বহু কিছুর জায়গা নিয়েছে আধুনিক জিনিসপত্র। সেই তালিকায় নব্য সংযোজন হিসেবে বাংলা ক্যালেন্ডার হয়ত জায়গা করে নিতে চলেছে। একসময় তা কেবলই নস্টালজিয়া হিসেবে থেকে যাবে!