পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহাকুমায় রয়েছে অগ্রদ্বীপ গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতের কালিকাকাপুর গ্রামের মানুষকে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে প্রত্যেকদিন বিভিন্ন কাজে আসতে হয় । সারাদিনে শত শত মানুষের যাতায়াত। অপর দিকে নদিয়া জল পথে কালিকাপুরের খুব কাছে তাই অন্যান্য জায়গার মানুষও অনেক সময় এই পথ ব্যবহার করে থাকেন। নদীয়ার বেথুয়া, দেবগ্রামেও এই এলাকার মানুষের যাতায়াত রয়েছে । এক কথায় কালিকাপুরের ফেরিঘাট অতি প্রয়োজনীয় একটি পারাপারের ঘাট।এই গুরুত্বপূর্ণ পারাপারের ঘাটে নূন্যতম যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীদের প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এ যেন ‘অভিশপ্ত’ গ্রাম! ফাঁকা পড়ে আছে ঘরবাড়ি, কেন কেউ থাকে না এখানে?
এলাকার মানুষের অভিযোগ ১২ মাস জলে নেমে নৌকায় উঠতে হয়। বর্ষায় এই ভোগান্তি আরও বাড়ে । বর্তমান পরিস্থিতিতে এক কোমর জলে নেমে কয়েকমিটার হেঁটে তারপরে নৌকায় চড়তে হয়। এই সমস্যার কথা বারবার কাটোয়ার দু নম্বর ব্লকের বিডিওকে জানালেও কোনওরকম সমাধান হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: মহালয়ার দিন কাটোয়ার ভাগীরথীতে ফাটান হল জল বোমা, কিন্তু কেন দেখুন
যদিও এই বিষয়ে এলাকার অগ্রদ্বীপ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জানান, \”সামনের মাসে নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া হওয়ার পর একটা ব্যবস্থা করা হবে।\”বারোমাস পারাপারের সমস্যায় ভুক্তভোগী এই এলাকার মানুষের একটাই প্রশ্ন,তারা কবে মুক্তি পাবেন এই খেয়া পারাপারের যন্ত্রণার হাত থেকে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী