আরও পড়ুন: এসসি/এসটি আইনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ মোদি সরকার
অন্যদিকে, বিহার ওড়িশাতেও রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর খবর এসেছে ৷ বিক্ষোভের জেরে গাজিয়াবাদের কাছাকাছি আটকে পড়েছে বহু ট্রেন ৷ দেরাদুন এক্সপ্রেস, রাঁচি রাজধানী এক্সপ্রেস, উৎকল এক্সপ্রেস, সপ্তক্রান্তি এক্সপ্রেস, কানপুর শতাব্দী এক্সপ্রেসসহ একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷ রাজস্থানের জয়পুর, বারমের, দিল্লির মান্ডি হাউস, উত্তরপ্রদেশের মেরঠ, মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা, ধস্তাধস্তি হয়। বারমেরে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। মেরঠে কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বিহারের পটনা সহ আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন ভীম আর্মির সদস্যরা। তাঁরা জোর করে বহু দোকানও বন্ধ করে দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: চলছে ভারত বনধ, দেশজুড়ে অশান্তি, পঞ্জাবে স্থগিত সিবিএসই পরীক্ষা
গত ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অত্যাচার বন্ধের আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এখন থেকে আর নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই আইনে কোনও সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তপশিলি জাতি–উপজাতির উপর অত্যাচারের কোনও মামলা দায়ের করার আগে সেই ঘটনা ডিএসপি পর্যায়ের কোনও আধিকারিককে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। এছাড়া এই ঘটনায় অভিযুক্ত কোনও সরকারি আধিকারিককে গ্রেপ্তারের আগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধেই ২ এপ্রিল ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল পিস্যান্টস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টি, ভারিপ বহুজন মহাসঙ্ঘ, সিটু, জাতি অন্ত সংঘর্ষ সমিতি, রাষ্ট্রীয় সেবা দল, ন্যাশনাল দলিত মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সহ বিভিন্ন সংগঠন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর অসম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা হল বৈবাহিক ধর্ষণ : গুজরাত হাইকোর্ট
সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বন্ধ প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণমন্ত্রী থাহরচাঁদ গেহলট নিজে ট্যুইট করে তাঁদের বন্ধ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে লিখেছিলেন, মোদি সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নয়নে কোনও খামতি রাখবে না। এমনকী সুপ্রিম কোর্টে এই রায় পুণর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। আজই এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবে কেন্দ্রীয় সরকার। অপর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানও ভারত বনধের বিরোধিতা করেছেন।
#WATCH #BharatBandh over SC/ST protection act: Protesters thrashed by Police personnel in Meerut pic.twitter.com/yQfaJBDbBD
— ANI UP (@ANINewsUP) April 2, 2018