সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যে ঘটনাটি সামনে এসেছে, সেই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের বহওয়ালপুরের ৮১ বছরের পুরনো চিড়িয়াখানায়। কিন্তু এই ঘটনাটির কথা কীভাবে জানা গেল। আসলে একটি বাঘকে এক ব্যক্তির জুতো মুখে নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। এই দৃশ্য দেখতে পান চিড়িয়াখান কর্মচারীরা। তাঁদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। এদিকে ওই চিড়িয়াখানায় রয়েছে তিনটি বাঘ। ফলে প্রতিটি বাঘের ঘেরাটোপ পরীক্ষা করা হয়। আর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীনই একটি খাঁচার সামনে একজন মানুষের আধ-খাওয়া দেহের দেখা মেলে। এরপরেই চিড়িয়াখানায় শোরগোল পড়ে যায়। আর সঙ্গে সঙ্গে চিড়িয়াখানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ।
advertisement
পঞ্জাবের এই চিড়িয়াখানা কিন্তু বহু পুরনো। এমনকী দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই পঞ্জাবের এই চিড়িয়াখানা খোলা হয়েছিল। ১৯৪২ সালে প্রথম খোলা এই চিড়িয়াখানা সব সময় জনবহুল থাকে। অর্থাৎ সব সময় সেখানে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই চিড়িয়াখানায় প্রবেশের টিকিটের দাম মাত্র ১০ টাকা। এখানকার অফিসার জাহির আনওয়ার বলেন, চিড়িয়াখানায় যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তিনি হয়তো সম্ভবত মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন। কারণ মানসিক ভাবে সুস্থ কোনও মানুষ বাঘের খাঁচার সামনে ঝাঁপ দেওয়ার ভুলটা করবেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর তার ভিত্তিতে কখন চিড়িয়াখানা খোলা হবে, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
