আরও পড়ুন- চাদর জড়িয়ে বসেছিলেন যুবক, হঠাৎ ‘জলের বোতল’ বের করতেই শোরগোল! বন্দুক নিয়ে ঘিরে ধরল পুলিশ!
থর গাড়ির মালিক এসএইচও-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। দাবি করেছেন যে, থানার ইনচার্জ ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এই চালান ইস্যু করেছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, গাড়ির মডিফিকেশনের জন্য ১ লাখ টাকার চালান ইস্যু করা হয়েছিল, যা পরে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
advertisement
আরও পড়ুন- মানুষের পর পৃথিবীর দখল নেবে কোন প্রাণী? বিজ্ঞানীরা যা বললেন…ভাবতেও পারবেন না!
বিজেপি যুব মোর্চার নেতা এবং থর গাড়ির মালিক সম্প্রতি এসপি অফিসে গিয়ে নিজের কথা তুলে ধরেন। অভিযোগ করা হয়েছে যে, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে থানার ইনচার্জ তাঁর বিরুদ্ধে এত বড় চালান ইস্যু করেছেন। এমনকি এই শত্রুতার কারণে তাঁর আত্মীয় ও বন্ধুদেরও হয়রানি করা হচ্ছে এবং তাঁদের থেকেও চালান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
হন্তদন্ত হয়ে যুবক SP অফিসে এসে বললেন, ‘ম্যাডাম, ১.০৫ লাখ কি ঠিক হল…?’ সঙ্গে সঙ্গে শোরগোল!
আরও পড়ুন- ভিখিরিই মনে হয়েছিল দেখে, অফিসার প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কে?’ নাম শুনেই কেঁপে উঠল পুলিশ!
থর মালিক চন্দ্রমণি এসপি মাণ্ডি সাক্ষী ভার্মার কাছে তাঁর অভিযোগ জানান। চন্দ্রমণি এসপিকে জানান, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪-এ সুন্দরনগরের ধনোটু থানার ইনচার্জ তার গাড়ির জন্য চালান ইস্যু করেছিলেন। বায়ু দূষণ ও গাড়ির নথিপত্রের জন্য আলাদা করে ৫৫০০ টাকার চালান ইস্যু করা হয়। মোট ১ লাখ ৫৫০০ টাকার চালান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বোঁচা না চোখা? নাকই বলে দেবে কে কেমন ‘মানুষ’…! মিলিয়ে দেখে নিন যারটা জানতে চান
চন্দ্রমণি অভিযোগ করেন যে, যেদিন তাঁর গাড়ির চালান করা হয়েছিল, সেদিন থানার ইনচার্জ তাঁর বাড়ির বাইরে রাস্তায় দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি গাড়ির কেবল অ্যালয় হুইল পরিবর্তন করেছিলেন, যার জন্য এত বড় চালান ইস্যু করা হয়েছে। থর মালিক বলেন যে, এলাকায় মডিফায়েড গাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
চন্দ্রমণি আরও জানান যে, তিনি সুন্দরনগর বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি এবং কয়েক মাস আগে তিনি মাদক ও খনন মাফিয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। এর পরে, কংগ্রেস নেতাদের চাপে এবং ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে তাঁর গাড়ির চালান করা শুরু হয়। গত তিন মাসে তার গাড়ির বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার চালান ইস্যু করা হয়েছে। থানার ইনচার্জ ইচ্ছাকৃতভাবে সমাজে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন- ঘিলুতে ঘা! মাথায় কৃমি উঠে যন্ত্রণা, বমি…! কোন ৬ সবজিতে লুকিয়ে থাকে মৃত্যুর বীজ?
তিনি জানান, গাড়ির সমস্ত নথি বৈধ। চন্দ্রমণি এসপি মাণ্ডির কাছে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার এবং থানার ইনচার্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। এসপি মাণ্ডি সাক্ষী ভার্মা জানান যে, গাড়ির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে থানার ইনচার্জ দোষী প্রমাণিত হলে, নিয়ম অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।