আরও পড়ুন- ভারতেই রয়েছে এমন সমুদ্র সৈকত যেখানে উপভোগ করতে পারবেন নগ্নতা! রইল সন্ধান
লাকি ডায়মন্ড রিচের জন্ম নিউজিল্যান্ডে। সার্কাসের সঙ্গে জড়িত নানা কার্যকলাপ, যেমন জাগলিং, তলোয়ার গিলে ফেলা, ইউনিসাইকেল চালানো ইত্যাদিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন ডায়মন্ড রিচ। ১৬ বছর বয়সে তিনি সার্কাসে যোগ দিয়েছিলেন। এবং এই ১৬ বছর বয়সেই প্রথমবার শরীরে ট্যাটু করান তিনি। নিজের প্রথম ট্যাটু সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রিচ জানান, তিনি প্রথম ট্যাটুটি করেছিলেন নিজের নিতম্বে। তাঁর মা যাতে ট্যাটু দেখতে না পান, সেই জন্যই এমনটা করতে হয় তাঁকে।
advertisement
দেখুন ডায়মন্ড রিচের ভিডিও:
৫১ বছর বয়সী ডায়মন্ড রিচ শুধুমাত্র নিজের শরীরে ট্যাটুই করাননি, বেশি কিছু জিনিস পরিবর্তনও করেছেন। রূপো দিয়ে দাঁত প্রতিস্থাপন করেছেন এবং তাঁর কানের লতিতে বিশাল লম্বা করিয়ে ফুটো করিয়েছেন। এছাড়াও সারা জীবন ধরে দেহে বিভিন্ন ছিদ্র করিয়েছেন লাকি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একটি সাক্ষাত্কারে নিজের এই নামের ব্যাখ্যা করে রিচ বলেন, “আমি মনে করি আমি স্বভাবগতভাবেই ভাগ্যবান; আমি জাগলিং করতে পারতাম, আমি তলোয়ার গিলে ফেলতে পারতাম, দশ ফুট ইউনিসাইকেল চালাতে পারতাম। ডায়মন্ড নাম হল কারণ আমার বন্ধুরা আমাকে রুক্ষ হিরে বলে ডাকে এবং রিচ কারণ আমি উৎসাহে সমৃদ্ধ।”
আরও পড়ুন- পটল তোলা মানে মৃত্যু কেন? প্রবাদে মারা যাওয়ার সঙ্গে কী সম্পর্ক এই ছাপোষা সবজির!
নিজের এই চেহারার জন্য কখনও কখনও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও পেয়েছেন রিচ। “এটা আবহাওয়ার মতো। আপনি এর ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবেন না; আপনি এটি নিয়ন্ত্রণও করতে পারবেন না। কেবল এর মোকাবিলা করতে হবে,” বিভিন্ন বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলেন ডায়মন্ড রিচ। “আমি অন্য কারও থেকে আলাদা নই। আমি শুধু বেশি ট্যাটু করিয়েছি। আমারও রক্ত মাংসেরই দেহ,” বলেছেন গিনেস জয়ী এই মানুষ।