হাওয়াই ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে গবেষণা করছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাজার হাজার বছর ধরে বরফের নীচে ঘুমিয়ে ছিল সেই সব পোকারা। বরফ গলে (Siberian permafrost) গেলেই বেরিয়ে এসে তারা ঝাঁকে ঝাঁকে বাচ্চা দেবে।পার্থেনোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় বংশবিস্তার করবে। বরফের নীচে হাজার হাজার বছর ধরে ক্রিপটোবায়োসিস (Cryptobiosis) স্টেজে ছিল সেইসব পোকারা।
advertisement
আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে বাংলায় কটা আসন ছাড়বে তৃণমূল? চমকে ওঠা সংখ্যা, আদৌ রাজি হবে হাত শিবির?
সরীসৃপরা যেমন শীতকালে শীতঘুম বা হাইবারনেশনে যায়, এই ধরনের পোকারাও বরফের নীচে তেমনই ঘুমন্ত অবস্থায় চলে গিয়েছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাদের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, কিন্তু মৃত্যু হয়নি। বরফ সমাধিতে সুপ্ত অবস্থায় ছিল তারা। এই অবস্থাকেই বলে ক্রিপটোবায়োসিস। এবার বরফ গলে গেলেই তারা সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে জীবন ফিরে পাবে।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ডের জন্য ফোন আসছে? তা ধরেই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা! ভয়ঙ্কর ঘটনা চন্দ্রকোনায়
এর মধ্যেই তিব্বতীয় মালভূমিতে দুটি হিমবাহের মধ্যে ১৫ হাজার বছরের ভাইরাসের হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বরফের নীচে ৩৩ রকম ভাইরাসের জিনোমের খোঁজ মিলেছে, যার মধ্যে ২৮টি একেবারেই নতুন ভাইরাস। বিজ্ঞানীদের জানাশোনার বাইরে। গবেষকরা বলছেন, বরফের মধ্যে কম তাপমাত্রায় থাকায় এইসব ভাইরাসের জিন এখনও সক্রিয় রয়েছে। তবে কোনটি কতটা সংক্রামক এখনও জানা যায়নি। বরফ পরিষ্কার করে ভাইরাল জিনোমের নমুনা ল্যাবরেটরিতে নিয়ে এসে পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন গবেষকরা।বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন দিন কিন্তু আসতে চলেছে।