বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস ভবনের স্বীকৃতি এখনযও পর্যন্ত রয়েছে পেন্টাগনের দখলে। এটি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই বিশেষ স্বীকৃতি এবার আদায় করে নিতে চলেছে গুজরাতের সুরাতে অবস্থিত একটি ভবন। এই বিরাট ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে চার বছর।
আরও পড়ুন– ব্রেক আপ হয়ে গিয়েছে, শেষে এ কী করল প্রেমিক তার প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে!
advertisement
সুরাত বিশ্বের রত্ন ভাণ্ডার হিসাবে পরিচিত। যেখানে পৃথিবীর ৯০ শতাংশ হিরে কাটা হয়। বলা হচ্ছে এই ভবনে ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ কাজ করতে পারবেন এক সঙ্গে, যাঁরা হিরে সংক্রান্ত পেশাদার। এর মধ্যে থাকবেন হিরে পলিশ এবং কাটার কর্মীরা। সেই একই ছাতার তলায় থাকবেন ব্যবসায়ীরাও। এটিকে ‘ওয়ান স্টপ ডেস্টিনেশন’ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এই ভবনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুরাত ডায়মন্ড বোর্স’।
সূত্রের খবর, ১৫ তলা এই ভবনটি তৈরি হয়েছে ৩৫ একর জমির উপর। নয়টি আয়তাকার ভবন নিয়ে গঠিত এই কমপ্লেক্স কেন্দ্রীয় ভাবে এক জায়গায় যুক্ত থাকবে।
যে সংস্থা এই বিশাল ভবন তৈরি করেছে, তারা জানিয়েছে, প্রায় ৭.১ মিলিয়ন বর্গফুট এলাকা নিয়ে (ফ্লোর স্পেস) গঠিত হচ্ছে এটি। এর মধ্যে ২০ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে একটি বিনোদন এলাকা এবং পার্কিং এলাকা।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রকল্পের সিইও মহেশ গাধভি বলেন, ‘নতুন এই ভবন হাজার হাজার মানুষকে ব্যবসা করার দুর্দান্ত সুযোগ দেবে।’
হিরে সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই তাদের জায়গা কিনে ফেলেছে। এই ভবন তৈরি করার জন্য এর আগে একটি আন্তর্জাতিক নকশা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলে। ভারতীয় স্থাপত্য সংস্থা ‘মরফোজেনেসিস’ এই ভবনের নকশা তৈরি করেছে। গাধভি বলেন, ‘‘পেন্টাগনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চাইনি আমরা। বরং চাহিদার উপর ভিত্তি করেই প্রকল্পের আকার নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সমস্ত অফিস বিক্রি হয়ে গিয়েছে।’’