সম্প্রতি ওমানের মাসকাটে আয়োজিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন। মোটিভেশনাল স্ট্রিপস, আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় লেখক ফোরাম “বি এ স্টার গ্লোবাল পোয়েট্রি চ্যাম্পিয়নশিপ” ২০২৩ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন সারা বিশ্ব থেকে ১০১টি দেশের কবিরা।
আরও পড়ুন: লকারে কী আছে…? কত গয়না…? জোত্যিপ্ৰিয়র স্ত্রী-কন্যার লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
সেখানেই সবাইকে ছাপিয়ে বাংলার তথা ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার দুই কবি প্রিয়াঙ্কা এবং কবি ঈপ্সিতা গঙ্গোপাধ্যায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ব কবিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরে কবিতা পরিবেশন বিভাগে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
advertisement
হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা একজন ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষিকা। কলেজ ইউনিভার্সিটিতে বেশ কয়েক বছর ধরে ইংরেজি সাহিত্যের উপর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে আসছেন প্রিয়াঙ্কা। ২০২০ সালে করোনার সময় প্রথম শুরু হয় তাঁর ইংরেজি ভাষায় কবিতা লেখা। সেই থেকেই একের পর এক লেখা লিখে চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ‘এতগুলো’ দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ…? কবে কবে ছুটি? দেখুন তারিখ-সহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা
প্রিয়াঙ্কার লেখা কবিতার মধ্যে উঠে এসেছে কখনও সাম্রাজ্যবাদের কথা, কখনও উঠে এসেছে সমাজের নিপীড়িত শোষিত মানুষদের কথা। আবার কখনও উঠে এসেছে ভালোবাসার কথা। নিজের লেখা কবিতাকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মনে করেন লেখিকা প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলা ছেড়ে কেন ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যচর্চা? সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পড়ে বড় হয়েছেন। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে ইংরেজি সাহিত্যচর্চার সঙ্গে জড়িত থাকতে থাকতে তিনি ইংরেজি ভাষার প্রেমে পড়ে যান সেই থেকেই শুরু হয় তার ইংরেজিতে লেখালেখি করা। প্রথমে তিনি ইংরেজিতে শুধু ‘কোটস’ লিখতেন পরবর্তীতে সেই ‘কোটস’ আকার নেয় পুরোদস্তুর কবিতার। আর এই ভাবেই প্রিয়াঙ্কার একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়া ছন্দ-শব্দের বুননে।
প্রিয়াঙ্কা আরও জানান, বিশ্বব্যাপী সম্মানিত হওয়ার পরেও তাঁর মনে হয় ইংরেজি ভাষায় এখন তাঁর সাহিত্যচর্চা বুনিয়াদি স্তরে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। আগামী দিনে তাঁর লেখা বিশ্বের মানুষের আরও বেশি করে মন কাড়বে এমনটাই আশাবাদী প্রিয়াঙ্কা।
রাহী হালদার