গণেশ পুজোয় প্রায় সকলের মুখেই শোনা যায় ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’ বলেন। শুধু অবাঙালিরা নন, বাঙালিরাও এই ‘মোরিয়া’ শব্দটির সঙ্গে খুবই পরিচিত। কিন্তু মোরিয়া শব্দের অর্থ কী? কাহিনি অনুযায়ী, চতুর্দশ শতকে পুনের চিঞ্চওয়াড়েতে মোরিয়া গোসাবি নামে এক ভক্ত ছিলেন। তিনি কর্ণাটকের শালিগ্রামের বাসিন্দা হলেও পরে পুনের চিঞ্চওয়াড়ে গিয়ে বসবাস শুরু করেন ওই ব্যক্তি।
advertisement
আরও পড়ুন- উদ্বেগজনক বারাণসীর বন্যা পরিস্থিতি! লাইফ জ্যাকেট পরে ভেলায় চেপে জলে নামলেন যোগী!
নিজের কোনও কাজে অনুতপ্ত হয়ে নিজেকে শাস্তি দিতে পুনেতে গণেশ বন্দনা শুরু করেছিলেন তিনি। সিদ্ধি, শ্রী চিন্তামণি গিয়ে গণেশ দর্শন করেছিলেন তিনি। গণেশ পুজো উপলক্ষ্যে তাঁর ছেলে একটি মন্দিরও গড়ে তুলেছিলেন। আহমেদাবাদের সিদ্ধি বিনায়কে গিয়েও নাকি একটি মন্দির গড়েছিলেন তিনি। এই ঘটনাটিকেই ভক্ত ও ভগবানের শ্রদ্ধা ও ভক্তির উদাহরণ হিসেবে দেখেন গণেশ ভক্তরা।
সেই থেকেই গণপতি বাপ্পার সঙ্গে মোরিয়াকেও সম্মান জানাতে তাঁর নাম উচ্চারণ করা হয়। কাহিনি অনুযায়ী, এই অসাধারণ ভক্তিতে মুগ্ধ হয়ে গণেশ মোরিয়াকে দেখা দিয়ে বর চাইতে বলেন। মোরিয়া গোসাবি প্রার্থনা করেন যাতে গণেশের নামের তাঁর নামও বরাবরের মতো জুড়ে যায়। সেই থেকেই গণপতি বাপ্পা মোরিয়া ধ্বনি গণেশ আরাধনার অংশ।
আরও পড়ুন- প্রয়াত কংগ্রেস সুপ্রিমো সনিয়া গান্ধির মা! শেষকৃত্য সম্পন্ন হল ইতালিতেই
গণেশ পুজো চলে দুই থেকে দশ দিন। এগারো দিনের মাথায় গণেশ বিসর্জন দেওয়া হয়। পশ্চিম ভারতের মতো গণেশ পুজোর উন্মাদনা এখন শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও।