প্রথমেই যেটা জানা দরকার তা হল, 'ভাইরাল' শব্দটি নিয়ে। এই শব্দটি কি ডিজিটাল যুগেই তৈরি হয়েছে? জবাব হল, একেবারেই না। আগেও অনেক কিছু ভাইরাল হত, তবে সোশ্যাল মিডিয়া না থাকায় আলাদা করে তার কোনও পোশাকি নাম ছিল না। আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন কোনও কিছু যত সহজে ভাইরাল হয়, তখনকার দিনে তা সময় নিত অনেকটাই বেশি। এই শব্দটির উৎপত্তি হল 'ভাইরাস' শব্দ থেকে। আর ভাইরাস শব্দটি মূলত ইংরেজি বর্ণমালার V, I, R, U এবং S-এর সমন্বিত রূপ, যেগুলো আলাদাভাবে পূর্ণাঙ্গ একেকটি শব্দ। অর্থাৎ ভাইরাস শব্দটি একটি সংক্ষিপ্ত রূপ। এর পুরো নাম হল, 'Vital Information Resources Under Seize' (ভাইটাল ইনফরমেশন রিসোর্সেস আন্ডার সিজ)।
advertisement
আরও পড়ুন: অনেকেই চক খেয়ে নেয়, বিশেষ করে বাচ্চারা! কেন এমন হয় জানুন
আর ভাইরাস শব্দটি যেহেতু দূষণ, জীবাণু বা বিষাক্ত এ ধরনের অর্থে ব্যবহার করা হয় এবং ভাইরাস যেহেতু খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে বা বিস্তার লাভ করে, তাই হঠাৎ সমাজে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কোনও বিষয় বা ইস্যুকেই 'ভাইরাল' বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতি বছরই কম-বেশি গুগল, ইউটিউব, ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বা খোঁজ করা শব্দগুলোর মধ্যে ভাইরাল শব্দটি অন্যতম।
আরও পড়ুন: চুইঝাল দিয়ে রান্না করেছেন কখনও? মাংসের ঝোলের স্বাদ মুখে লেগে থাকবে চিরদিন! জানুন
অনলাইনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সর্বপ্রথম 'ভাইরাল' শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন, একজন মার্কিন লেখক। তাঁর নাম সেথ গোডিন। 'আনলিশিং দ্য আইডিয়াভাইরাস' শিরোনামে তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। ২০০০ সালের ৩১ জুলাইয়ের ঘটনা। ফাস্ট কোম্পানি ডটকমে প্রকাশিত হয় লেখাটি। সেখানে একটি লাইন ছিল এ রকম, Have the Idea behind your online experience go viral… (হ্যাভ দ্য আইডিয়া বিহাইন্ড ইওর অনলাইন এক্সপেরিয়েন্স গো ভাইরাল...)। সেই থেকে ভাইরাল হয়, 'ভাইরাল' শব্দটি।