তবে আগেকার দিনে বিয়ের কার্ড বা নিমন্ত্রণ পত্রের বিষয়টাকে কেউ তেমন গুরুত্ব দিতেন না। প্রাচীনকালে আমন্ত্রণ পত্রগুলি সাধারণত কাপড়ের উপর ছাপা হত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই রীতিতে আসে পরিবর্তন। ফলে আমন্ত্রণ পত্র কাগজের কার্ডেই ছাপা হতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের কার্ডও হয়েছে কেতাদুরস্ত এবং তাতে বেশ আধুনিকতার ছাপ দেখা যাচ্ছে। ফলে বর্তমান সময়ে বিয়ের কার্ডে অনন্যতার ছোঁয়া আনতে তৎপর সকলেই। অনেক সময়ই এমন অনন্য কার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়ে যায়।
advertisement
সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অনেকেই নিজেদের বিয়ের কার্ডে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, বেশ কিছু মানুষ আবার নিজেদের বিয়ের কার্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিও ছাপিয়েছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে একটি অভিনব বিয়ের কার্ডের কথা প্রকাশ্যে এসেছ। এর সঙ্গে অবশ্য লোকসভা নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও কার্ডটি বেশ ভাইরাল।
ভাইরাল হওয়া কার্ডে কী লেখা ছিল?
গত ১০ এপ্রিল তারিখে ছিল বিয়ে। আর তার জন্যই সেই আমন্ত্রণ পত্র। যেখানে ছিল রাধা-কৃষ্ণের ছবি। আর আমন্ত্রণ পত্রটি পাঠানো হয়েছিল পঙ্কজ নামে এক ব্যক্তির কাছে। কিন্তু কার্ডের নিচের দিকে সমস্ত প্রাপকের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ বার্তা লেখা ছিল, যেটি সকলের নজর কেড়েছে। কিন্তু কী সেই বার্তা? ওই আমন্ত্রণ পত্রে লেখা ছিল, ‘দয়া করে মদ্যপান করে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসবেন না’। আসলে প্রায়শই অনেকে মদ্যপান করে রীতিমতো মাতাল হয়ে বিয়েবাড়ি এসে গণ্ডগোল বাঁধানোর চেষ্টা করেন। আর এহেন গোলযোগ রুখতেই এই বার্তাটি ছাপানো হয়েছে।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া:
বিয়ের কার্ডে লেখা ওই বার্তাটি পড়ার পর তা নিয়ে নানা মত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই বার্তাটিকে সঠিক বলে মনে করেছেন। একজন লিখেছেন, “কিছু মানুষ মদ্যপান করে বিয়েতে হই-হট্টগোল করে। এতে বিয়ের আনন্দ মাটি হয়ে যায়। এই ধরনের মানুষদের বিয়েতে যোগ দেওয়াই উচিত নয়।” আবার একজন লিখেছেন যে, “সাধারণত শুধুমাত্র বরযাত্রীরাই এমনটা করে থাকেন। অথচ কনেপক্ষ ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না।” তবে কিছু নেটিজেন নির্লজ্জ ভাবে প্রশ্ন করছেন, “তাহলে মদ্যপান করে যেতে হবে না? মনে হচ্ছে, ওখানেই মদটা পাওয়া যাবে!”