আরও পড়ুন-‘সম্বন্ধ করে বিয়ে করা থেকে বাঁচান...’ ! পাত্রী খুঁজতে শহরজুড়ে হোর্ডিংয়ে বিজ্ঞাপন যুবকের
২৩ বছর বয়সের লুই সন্ডার্স (Lois Saunders) তাঁর একটি টিকটক (TikTok) ভিডিওতে জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ডের অজান্তেই তাঁর ওপর নজর রাখতেন এবং তাঁর পেছনে গোয়েন্দাগিরি করতেন। তাঁর বয়ফ্রেন্ডের ওপর গোয়েন্দাগিরি করতে করতে তিনি একটি ট্যাম্পন তৈরির কারখানায় উপস্থিত হন। কারণ লুই সন্ডার্স তাঁর বয়ফ্রেন্ডের বাড়িতে ট্যাম্পন খুঁজে পান, কিন্তু সেই ট্যাম্পন তাঁর ছিল না। ট্যাম্পন ব্যবহার করা হয় মহিলদের ঋতুচক্রের সময়ে। লুই সন্ডার্স এই ধরনের জিনিস তাঁর বয়ফ্রেন্ডের বাড়িতে পেয়ে সোজা সেটি তৈরি করার কারখানায় পৌঁছে যান গোয়েন্দাগিরি করার জন্য।
advertisement
গোয়েন্দাগিরিতে পার করেছেন সীমা
ব্রিটেনের লিভারপুলের ২৩ বছর বয়সের লুই সন্ডার্স জানিয়েছেন যে, একদিন তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ডের ঘরের আলমারির নিচে পিরিয়ডের সময় ব্যবহার করার ট্যাম্পন এবং মাস্কারা খুঁজে পান। কোনওটিই তাঁর নিজের ছিল না। এর ফলে তাঁর বয়ফ্রেন্ডের ওপর সন্দেহ হয় এবং তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ডকে প্রশ্ন করেন সেই বিষয়ে। কিন্তু তাঁর বয়ফ্রেন্ড তাঁকে বলেন যে সেখানে অন্য কোনও মেয়ে আসেনি। সেই সময় থেকে লুই সন্ডার্স তাঁর বয়ফ্রেন্ডের ওপর নজর রাখতে শুরু করেন। তাঁর গোয়েন্দাগিরি চলতে থাকে যত দিন আসল সত্য সামনে না আসে।
আরও পড়ুন- একী দৃশ্য ! সিংহ কোলে রাস্তায় হেঁটে চলেছেন মহিলা ! ভিডিও তুমুল ভাইরাল
ট্যাম্পনের কারখানায় পৌঁছে যান লুই সন্ডার্স
লুই সন্ডার্স তাঁর বয়ফ্রেন্ডকে সন্দেহ করে পৌঁছে যান ট্যাম্পন তৈরির কারখানায়। সেখানে তিনি সেই ট্যাম্পনের সিরিয়াল নম্বর দিয়ে কোম্পানির কাছে একটি মেল করে সেই সম্পর্কে জানতে চান। সেই কোম্পানি ই-মেল করে জানান সেই ট্যাম্পন তৈরি করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। এর পর লুই সন্ডার্স তাঁর ভুল বুঝতে পারেন, কারণ তাঁর বয়ফ্রেন্ড সেই বাড়িতে ভাড়া এসেছিলেন ২০১৯ সালের অনেক পরে। লুই সন্ডার্স এটি জানার পর খুব লজ্জিত হয়ে পড়েন। তাঁর ভিডিও ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। অনেকেই তাঁর গোয়েন্দাগিরির প্রশংসা করলেও, অনেকেই তাঁকে ‘সাইকো’ বলেও তকমা দিয়েছে!