সম্প্রতি সেখানকার বড়ি গৈবি এলাকার ভিডিএ কলোনির চার দিনের পুরনো একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার পরেই তৈরি হয় চাঞ্চল্য। সেখানে দেখা যাচ্ছিল, রাতের বেলা কোনও একটি বাড়ির ছাদে যেন বসে রয়েছে সাদা কাপড় জড়ানো একটা অবয়ব। এর ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। যার জেরে এলাকার বাচ্চাদের খেলতে বেরোতে দিচ্ছিলেন না মা-বাবারা। কয়েক দিন ধরেই সুনসান হয়ে পড়েছিল পাড়ার পার্কগুলি। এমনটাই জানিয়েছেন ওই কলোনির বাসিন্দা অনিশা শাহি নামে এক মহিলা।
advertisement
আরও পড়ুন- মহালয়ার আগেই খুলছে ভাগ্য! পুজো কী নিয়ে আসছে- টাকা না প্রেম?
ভাইরাল ভিডিও দেখে শিউরে উঠছিল মানুষ। কিন্তু সন্দেহ দানা বাধে! আদৌ কি এটা ভূতের উপদ্রব না এর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনও রহস্য? ফলে তদন্তে নামেন নিউজ ১৮-এর স্থানীয় সাংবাদিক। তার পরেই আসল সত্যিটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। তদন্তে আরও দু’টি ভিডিও সামনে আসে। সেই ভিডিওগুলিতে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, আপাদমস্তক সাদা-কাপড়ে মোড়া ওই অবয়বটা পার্কে কিংবা বাড়ির বারান্দায় হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে। ফলে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, এ কোনও অশরীরী আত্মা নয়, বরং মানুষেরই কাজ!
কিন্তু কেউ এমন কাজ করবেই বা কেন? আসলে এলাকার মানুষদের অনুমান, কেউ দুষ্টুমি করেই এই কাজ করেছে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন যে, এর পিছনে কারও কোনও খারাপ অভিসন্ধিও থাকতে পারে!
আরও পড়ুন-পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বিড়ম্বনায় পড়েছে দল... বিস্ফোরক সৌগত রায়
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ শর্মা জানিয়েছেন যে, “প্রথমে মহিলারা জানিয়েছিলেন যে, এখানে ভূতের উপদ্রব শুরু হয়েছে। আমি তো ভেবেছিলাম ওঁরা মজা করছেন! বিশ্বাসই করিনি! পরে কলোনির সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে ওই ভিডিও দেখেছি। এমনকী সেটাও পরিকল্পনামাফিক পোস্ট করা হয়েছিল। কারণ প্রথমে একটাই ভিডিও সামনে আসে। এর এক-দুই দিন বাদে আসে আরও ভিডিও। তার পরে ওই কলোনির গ্রুপেই এলাকার কিছু ছেলে এই কাজের দায় স্বীকার করে। তবে পরে গ্রুপে মেসেজ আসে যে, এই কাজ বহিরাগতদের। ফলে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বাচ্চাদের শরীর খারাপ হয়ে যায় এবং ঠিক করে ঘুমোতেও পারছিল না। তাই যারাই এই কাজ পরিকল্পনা-মাফিক কিংবা দুষ্টুমি অথবা ভয় দেখানোর জন্য করে থাকুক, সেটা একেবারেই ঠিক করেনি!”
যদিও ঘটনার পুলিশি তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। বাড়ির বাচ্চাদের উপর এই আতঙ্কের প্রভাব পড়ছে বলে এলাকার বাসিন্দারা তদন্তের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন। এমনকী, তাঁরা একটি দরখাস্ত তৈরি করার জন্যও তৈরি হচ্ছেন।