তীব্র হতাশা এবং ক্ষোভে সে এমার্জেন্সি পরিষেবায় কল করেছে। খাবার চুরির দায়ে মাকে গ্রেফতার করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধও জানিয়েছে সে। সেখানে ফোন করে সে বলেছে, আমার মা বাজে। আপনারা এসে আমার মা-কে নিয়ে যান। পরে অবশ্য শিশুটির মা তার হাত থেকে ফোন নিয়ে গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।
advertisement
যদিও এই ঘটনা অনেকের কাছেই বেশ মজাদার কিংবা হাস্যকর হতে পারে, কিন্তু ন্যায়বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে শিশুদের নিষ্পাপ মনোভাবই এতে প্রতিফলিত হয়েছে। ৯১১-য় শিশুটির ওই কলের অডিও রেকর্ডিংটাও হাতে এসেছে সিএনএন-এর। সেখান থেকেই গোটা বিষয়টি জানা গিয়েছে। সেই কথোপকথনের নির্যাসই নীচে তুলে ধরা হল:
ডিসপ্যাচ: হ্যালো, এটা রেসিন কাউন্টি ৯১১। এমার্জেন্সির ঠিকানাটা কী?
শিশু: আমার মা খুব খারাপ।
ডিসপ্যাচ: আচ্ছা, কী চলছে ওখানে?
শিশু: আপনারা আসুন আর আমার মা-কে নিয়ে যান।
ডিসপ্যাচ: তুমি কি জানো – হাই, ওখানে কী চলছে?
মহিলা: ওহ! আসলে ছোট শিশুটির হাতে ফোনটা ছিল। ওর বয়স মাত্র ৪ বছর।
ডিসপ্যাচ: আচ্ছা।
মহিলা: আর আমরা ওকে ধরার চেষ্টা করছি, কারণ ও বলেছিল যে, ও ৯১১-য় কল করে দেবে।
শিশু: না, আমি তো পুলিশকে কল করেছি আর ওদের এসে আমি মা-কে নিয়ে যেতে বলেছি… আমি শুধু বলেছি, মা-কে তোমরা জেলে দিয়ে দাও। তাই আমায় একলা ছেড়ে দাও।
মহিলা: আমি ওর আইসক্রিম খেয়ে ফেলেছি। সেই কারণেই ও ৯১১-য় কল করেছে।
অফিসাররা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন, তখন অবশ্য শিশুটির মত পরিবর্তন হয়েছে। মা গ্রেফতার হোক, সেটা চায়নি ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুটি। আসলে পরে মত পাল্টে মা-কে জেলে না দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে। ঘটনাটি সেখানেই মিটে গিয়েছে। তবে এরপরের দিন অবশ্য পুলিশের তরফে বিশাল বড় এক সারপ্রাইজ পেয়েছে ওই একরত্তি। পুলিশের তরফে পাঠানো সেই আইসক্রিম উপহার পেয়ে এখন হাসি ফুটেছে তার মুখে।