অমিতাভ-জিতেন্দ্র-ঋষিকে নিয়ে একটি ছবি করতে চেয়েছিলেন এই বিখ্যাত পরিচালক, কিন্তু সেটাই তাঁর জীবনের শেষ ছবি হয়ে গেল; যেন অবসান হল এক যুগের

Last Updated:
রোম্যান্টিক অ্যাকশন ড্রামা ধারার এই ছবিটার নাম হল ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’। ১৯৮৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। নিজের ধারা বজায় রেখেই ছবিটি করতে চাইলেও মনমোহন দেশাইয়ের এই শেষ ছবি ফ্লপ বলে প্রমাণিত হয়।
1/7
সত্তর আর আশির দশকে অমিতাভ বচ্চন, জিতেন্দ্র থেকে শুরু করে ঋষি কাপুরের মতো বহু তারকাই পা রেখেছেন বি-টাউনে। লেখক সেলিম-জাভেদ জুটির মতো বহু পরিচালকেরই পছন্দের তারকা রয়েছে। কেউ কেউ তো আবার তাঁদের লাকি চার্ম বলে মানতেন। অমিতাভ বচ্চনই ছিলেন এই তারকাদের মধ্যে অন্যতম। প্রকাশ মেহরার মতো মনমোহন দেশাইয়েরও প্রিয় তারকা ছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালে তিনি মাল্টি-স্টারার ফিল্ম উপহার দিয়েছিলেন। অমিতাভ-জিতেন্দ্র-ঋষিকে ওই ছবিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুই বিখ্যাত তারকা প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন।
সত্তর আর আশির দশকে অমিতাভ বচ্চন, জিতেন্দ্র থেকে শুরু করে ঋষি কাপুরের মতো বহু তারকাই পা রেখেছেন বি-টাউনে। লেখক সেলিম-জাভেদ জুটির মতো বহু পরিচালকেরই পছন্দের তারকা রয়েছে। কেউ কেউ তো আবার তাঁদের লাকি চার্ম বলে মানতেন। অমিতাভ বচ্চনই ছিলেন এই তারকাদের মধ্যে অন্যতম। প্রকাশ মেহরার মতো মনমোহন দেশাইয়েরও প্রিয় তারকা ছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালে তিনি মাল্টি-স্টারার ফিল্ম উপহার দিয়েছিলেন। অমিতাভ-জিতেন্দ্র-ঋষিকে ওই ছবিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুই বিখ্যাত তারকা প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন।
advertisement
2/7
রোম্যান্টিক অ্যাকশন ড্রামা ধারার এই ছবিটার নাম হল ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’। ১৯৮৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। নিজের ধারা বজায় রেখেই ছবিটি করতে চাইলেও মনমোহন দেশাইয়ের এই শেষ ছবি ফ্লপ বলে প্রমাণিত হয়।
রোম্যান্টিক অ্যাকশন ড্রামা ধারার এই ছবিটার নাম হল ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’। ১৯৮৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। নিজের ধারা বজায় রেখেই ছবিটি করতে চাইলেও মনমোহন দেশাইয়ের এই শেষ ছবি ফ্লপ বলে প্রমাণিত হয়।
advertisement
3/7
‘অমর আকবর অ্যান্টনি’-র সাফল্যের পর লেখা হয় ছবির চিত্রনাট্য: মনমোহন দেশাই এবং অমিতাভ বচ্চন জুটি হিন্দি ছবির দুনিয়ায় দারুণ কিছু ছবি উপহার দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও এই ছবিটি ভক্তদের হৃদয়ে দাগ কাটতে পারেনি। আসলে নিজের ১৯৭৭ সালের ছবি ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’-র পর এই ছবি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’ ছবিতে গঙ্গারাম চরিত্রে অমিতাভকে, যমুনা দাস চরিত্রে জিতেন্দ্রকে এবং সরস্বতীচন্দ্র চরিত্রে ঋষি কাপুরকে ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে ছবিটি ছেড়ে বেরিয়ে যান জিতেন্দ্র। তাঁর পরে মিঠুন চক্রবর্তী ছবির অফার পান। Photo: Collected/File
‘অমর আকবর অ্যান্টনি’-র সাফল্যের পর লেখা হয় ছবির চিত্রনাট্য: মনমোহন দেশাই এবং অমিতাভ বচ্চন জুটি হিন্দি ছবির দুনিয়ায় দারুণ কিছু ছবি উপহার দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও এই ছবিটি ভক্তদের হৃদয়ে দাগ কাটতে পারেনি। আসলে নিজের ১৯৭৭ সালের ছবি ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’-র পর এই ছবি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’ ছবিতে গঙ্গারাম চরিত্রে অমিতাভকে, যমুনা দাস চরিত্রে জিতেন্দ্রকে এবং সরস্বতীচন্দ্র চরিত্রে ঋষি কাপুরকে ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে ছবিটি ছেড়ে বেরিয়ে যান জিতেন্দ্র। তাঁর পরে মিঠুন চক্রবর্তী ছবির অফার পান। Photo: Collected/File
advertisement
4/7
এরপরে একাধিক পরিবর্তন আনা হয় ছবিতে। মনে করা হয় যে, এই সিদ্ধান্তই নির্মাতাদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। মিঠুনের চরিত্রটি আসার পর ঋষি কাপুরের আর ছবিতে কিছু করার ছিল না। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে এই ছবি থেকে বাদ দিতে বাধ্য হন নির্মাতারা। ফলে কষ্ট পেয়েছিলেন অভিনেতা।
এরপরে একাধিক পরিবর্তন আনা হয় ছবিতে। মনে করা হয় যে, এই সিদ্ধান্তই নির্মাতাদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। মিঠুনের চরিত্রটি আসার পর ঋষি কাপুরের আর ছবিতে কিছু করার ছিল না। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে এই ছবি থেকে বাদ দিতে বাধ্য হন নির্মাতারা। ফলে কষ্ট পেয়েছিলেন অভিনেতা।
advertisement
5/7
‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’ ছবিতে একাধিক তারকা: সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, এই ছবি নির্মাণে খরচ হয়েছিল ৮ কোটি টাকা। তবে বক্স অফিসে এই ছবিটি সংগ্রহ করেছিল মাত্র ৫ কোটি টাকা। ফলে তা ফ্লপ হয়। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মীনাক্ষি শেষাদ্রি, জয়াপ্রদা, মিঠুন চক্রবর্তী, অমরীশ পুরি এবং নিরুপা রায়ের মতো তারকারা।
‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’ ছবিতে একাধিক তারকা: সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, এই ছবি নির্মাণে খরচ হয়েছিল ৮ কোটি টাকা। তবে বক্স অফিসে এই ছবিটি সংগ্রহ করেছিল মাত্র ৫ কোটি টাকা। ফলে তা ফ্লপ হয়। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মীনাক্ষি শেষাদ্রি, জয়াপ্রদা, মিঠুন চক্রবর্তী, অমরীশ পুরি এবং নিরুপা রায়ের মতো তারকারা।
advertisement
6/7
অভিনেত্রী লজ্জায় লাল কেন? মীনাক্ষি শেষাদ্রির সঙ্গে অমিতাভের একটা ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল। এদিকে অভিনেত্রী অমিতাভের তুলনায় ২১ বছরের ছোট। যা নিয়ে বহু চর্চা হয়েছিল। আসলে ওই দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে ঠান্ডায় অচৈতন্য হয়ে পড়েন মীনাক্ষী। সুপারস্টারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছিলেন যে, ওই দৃশ্য দেখার পর তিনি লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলেন। এই দৃশ্যটি ক্যামেরা এবং গোটা ইউনিটের সামনে শ্যুট করা বেশ কঠিন ছিল। প্রচণ্ড সাহসিকতার প্রয়োজন হত। সকলেই তাঁদের এই দৃশ্য পছন্দ করেছিল। কিন্তু এই প্রেমের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও ছবিটিকে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি।
অভিনেত্রী লজ্জায় লাল কেন? মীনাক্ষি শেষাদ্রির সঙ্গে অমিতাভের একটা ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল। এদিকে অভিনেত্রী অমিতাভের তুলনায় ২১ বছরের ছোট। যা নিয়ে বহু চর্চা হয়েছিল। আসলে ওই দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে ঠান্ডায় অচৈতন্য হয়ে পড়েন মীনাক্ষী। সুপারস্টারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছিলেন যে, ওই দৃশ্য দেখার পর তিনি লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলেন। এই দৃশ্যটি ক্যামেরা এবং গোটা ইউনিটের সামনে শ্যুট করা বেশ কঠিন ছিল। প্রচণ্ড সাহসিকতার প্রয়োজন হত। সকলেই তাঁদের এই দৃশ্য পছন্দ করেছিল। কিন্তু এই প্রেমের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও ছবিটিকে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি।
advertisement
7/7
অমিতাভের কেরিয়ারে পতন: আশির দশকের শেষ দিকে ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’ মুক্তি পায়। এদিকে এই ছবির পর থেকে নীচে নামতে শুরু করে অমিতাভের কেরিয়ার গ্রাফ। ধীরে ধীরে মনমোহন দেশাই, প্রকাশ মেহরা এবং অমিতাভ বচ্চনের সেই সুবর্ণ যুগের অবসান ঘটে।
অমিতাভের কেরিয়ারে পতন: আশির দশকের শেষ দিকে ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’ মুক্তি পায়। এদিকে এই ছবির পর থেকে নীচে নামতে শুরু করে অমিতাভের কেরিয়ার গ্রাফ। ধীরে ধীরে মনমোহন দেশাই, প্রকাশ মেহরা এবং অমিতাভ বচ্চনের সেই সুবর্ণ যুগের অবসান ঘটে।
advertisement
advertisement
advertisement