গৌতম বুদ্ধ নগরের পুলিশ কমিশনারেট ট্যুইট করে জানিয়েছে, থানা সেক্টর-১২৬ নয়ডা অঞ্চলে জেপি গ্রিনস বিশ টাউনে সিকিউরিটি গার্ডকে মারধর ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ওই মহিলাকে করে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
অরুণ বোথরা নামের এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন যে, "ওই নিরাপত্তারক্ষীর তাঁর সিনিয়রদের চেয়ে বেশি আত্মসম্মান আছে। ভিডিওর ওই অংশটি সবচেয়ে ভাললেগেছে যখন তিনি নিজের আই-কার্ড খুলে ফেলেন এবং অপমানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন।" ডা. প্রবীণ ত্রিপাঠি নামের আরেক ট্যুইটার ব্যবহারকারী লিখছেন, ‘গার্ড সাহেব, আপনার নিজেকে নিয়ে গর্ব করা উচিত। প্রচন্ড উত্তেজনা সত্ত্বেও আপনি আপনার সংযম বজায় রেখেছেন’। তিনি আরও লিখেছেন যে, ‘এমন কাজ করার মূল্য নেই, যদি আপনাকে আত্মসম্মানের সঙ্গে আপোস করতে হয়।‘
advertisement
আরও পড়ুন : করালবদন হিংস্র হাঙরকে খালি হাতে ধরলেন যুবক! নিমেষে ভাইরাল ভিডিও
এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময়, সোসাইটির এক গার্ড করণ চৌধুরি দাবি করেছিলেন যে তিনিই ওই ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন এবং তাঁর সুপারভাইজারদের গিয়ে বলেছিলেন, "ওই মহিলা যখন পার্কিং থেকে তাঁর গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন নিরাপত্তারক্ষী গেট খুলতে একটু দেরি করেন। এই নিয়েই প্রথম ওই মহিলা তোলপাড় শুরু করেন এবং তাঁকে গালিগালাজও করেন। আমি ঘটনাটি জানতে পেরে গেটের দিকে ছুটে যাই, সেখান থেকেই আমি আমার ফোনে ভিডিওটি শ্যুট করে আমার সিনিয়রকে দেখাই এবং পরে এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। "
সোসাইটির সেক্রেটারি অঙ্কিত কুচাল এএনআইকে জানিয়েছেন, ওই মহিলা এই বছরের শুরুতে হাউজিং সোসাইটিতে আসেন। "ভব্যা রায় (Bhavya Roy) এই বছরের মে মাসের শুরুতে এই সোসাইটিতে বসবাস শুরু করেন। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। আমরা তাঁর ফ্ল্যাটের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং সোসাইটির পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন : আহত চিতাবাঘের পায়ে রাখি পরিয়ে দিলেন রাজস্থানি বধূ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি
অপর এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী অচিন্ত্য পান্ডে মন্তব্য করেছেন, "ভব্যা রায় যিনি গার্ডদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন, তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। ভারতে অবশ্যই পুরুষদের জন্যও একটি জাতীয় কমিশন দরকার।"