তাতে দেখা গেল, অফিসে রিনিউ করার জন্য পাঠানো হয়েছে পাসপোর্টটিকে। সেটি খুলতেই চোখ রীতিমতো কপালে ওঠার জোগাড় আধিকারিকদের। কারণ পাসপোর্টে তো বিভিন্ন দেশের ভিসা স্ট্যাম্প থাকার কথা। কিন্তু তার পরিবর্তে সেই পাসপোর্টে লেখা রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন ফোন নম্বর। অফিসের আধিকারিকরা এই কাণ্ড দেখে তাজ্জব হয়ে ঘটনাটি ভিডিও-বন্দি করেন। আর ওই ভিডিও থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, যাঁর পাসপোর্ট, তাঁর বাড়ির কেউই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। যার সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই ওই পাসপোর্টধারীর। ফলে এখন ওই ব্যক্তিকে আবার নতুন করে পাসপোর্ট করাতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: সাইকেলের লিক সারাতেন এক সময়, এখন একাই বুর্জ খলিফার ২২ ফ্ল্যাটের মালিক! কে এই ব্যক্তি?
ট্যুইটার ব্যবহারকারী @DPrasanthNair এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, এক বয়স্ক ভদ্রলোক রিনিউ করার জন্য নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি যে, তাঁর পরিবারের কেউ পাসপোর্টের সঙ্গে এমনটা করেছেন। অফিসাররা এখনও শক থেকে বেরোতে পারছেন না। পাসপোর্টে লেখা সব কিছুই মালয়ালম ভাষায় রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিষয়টা বোধগম্যই রয়েছে।
পাসপোর্টের ভিডিও ভাইরাল হতেই মন্তব্য করতে শুরু করেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: পাইকারি বাজারে ‘এই’ দাম, আর বিক্রি হচ্ছে ৮০-তে! কলকাতায় হচ্ছেটা কী!
এক ব্যক্তি লিখেছেন, “ধরুন আপনি বিদেশে ভ্রমণ করছেন। কিন্তু সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পরে যদি স্ট্যাম্প মারার সময় ইমিগ্রেশন অফিসারেরা এটা দেখতেন, তাহলে কী হতে পারত!” আর এক নেটাগরিক আবার মজা করে লিখেছেন, “মনে হয় ওই ভদ্রলোক ভ্রমণ করার সুযোগ পাননি। তাই তাঁর পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন, এর পাতা ফাঁকা কেন? তাই তাতে শুধুমাত্র অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং ফোন নম্বরই লেখা উচিত।”
যদিও অনেকেই বলছেন, পাসপোর্টের অপব্যবহার একটা অপরাধ। বছর কয়েক আগে এমনটাই ঘটেছিল মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রার সঙ্গেও। ওই মাহিন্দ্রা-কর্তার পাসপোর্টে হাবিজাবি এঁকে ভরিয়ে রেখেছিল তাঁর পুত্র।