ওড়িশা টিভির এক প্রতিবেদন অনুসারে, চরম্পা বাজার থেকে ভদ্রক রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদের অভিযানের অংশ হিসেবে এই ভাঙার কাজ চালানো হয়েছে। অভিযান চলাকালীন বেশ কয়েকটি দোকান, বাড়ি এবং অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যে ভবনটি দখলকৃত জমির উপর নির্মিত বলে জানতে পেরেছে, তার সামনের অংশ এবং সিঁড়িও ভেঙে ফেলা হয়েছে। সিঁড়ি ভাঙার ফলে ভবনটিতে প্রবেশের কোনও উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না। অগত্যা অগতির গতি ট্রাকের উপর মই৷
advertisement
সূত্র অনুযায়ী, এই অভিযানের আগে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং ভবনের মালিককে একাধিকবার নোটিস জারি করা হয়েছিল৷ কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর পর সাব-কালেক্টর, তহসিলদার এবং অন্যান্য স্থানীয় কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ভাঙন চালানো হয়। কর্তৃপক্ষ লাউডস্পিকারে দখলবিরোধী অভিযান সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য বেশ কয়েকটি ঘোষণা করেছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের এলাকা খালি করার জন্য দুই দিন সময়ও দেওয়া হয়েছিল।
অভিযানের পর, ব্যাঙ্কের তরফে একটি ট্রাকের উপর কাঠের সিঁড়ি রাখা হয় যাতে কর্মীরা এবং গ্রাহকরা ওই বাড়ির দোতলায় ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায় প্রবেশ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণকারী ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে লোকেরা ওই মই বেয়েই ব্যাঙ্কের শাখায় প্রবেশ করছে। এই ঘটনাটি গ্রাহকদের নিরাপত্তা এবং এর ফলে তৈরি হওয়া অসুবিধা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে আলোচনা এবং উদ্বেগ তৈরি করেছে৷
একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, “এটা তো একেবারেই হাস্যকর- ভদ্রক এসবিআই গ্রাহকরা তাদের ব্যাঙ্কে পৌঁছানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন? দখলবিরোধী অভিযানে কোনও ব্যাকআপ প্ল্যান ছাড়াই সিঁড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে? সরকার ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা’র ফ্লেক্স লাগিয়েছে কিন্তু মানুষকে ঝুলন্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছে। এসবিআই, পুনর্নির্মাণের তাড়া কোথায়? এটা পরিষেবা নয়; এটা সঞ্চয়কারীদের উপর একটা খারাপ রসিকতা।”
“সিঁড়িটি অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যে কারণে এটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও, পুরো ভবনটি বা এর কিছু অংশ অবৈধ হতে পারে। বাড়ির রেকর্ড বা পরিকল্পনা অনুমোদনের বিবরণ যাচাই না করেই এটি ভাড়া নিয়েছে ব্যাঙ্ক। সরকারকে দোষারোপ করার কোনও কারণ নেই।” অন্য এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন। জনৈক নেটিজেন তো গ্রাহকদের জন্য বিনামূল্যে জীবনবিমার আবেদন করে বসে আছেন৷
“শুধুমাত্র সিঁড়িটি অবৈধ ছিল, আর বাকি ভবনটি বৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল? ব্যাঙ্ক কর্মচারী এবং গ্রাহকদের জন্য কী দুঃস্বপ্ন! কেবল ভারতেই এটি ঘটে,” অন্য কেউ উল্লেখ করেছেন।
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের পরবর্তী প্রতিবেদন অনুসারে, মূল ভবনটি ভেঙে ফেলার পর তার মালিক একটি নতুন স্টিলের সিঁড়ির বন্দোবস্ত করেছিলেন। ব্যাঙ্কে স্বাভাবিক প্রবেশ ব্যবস্থা এখন ফের শুরু হয়েছে।
