@streetfoodrecipe নামে ইনস্টাগ্রামের একটি ফুড পেজে শেয়ার করা হয়েছে সেই ভিডিও। যা দেখে জিভে জল আসতে বাধ্য সকলের! দেখা যাচ্ছে, রেস্তোরাঁ ম্যানেজার তাঁদের এই জনপ্রিয় কাশকন ডালটি সকলের সামনে এনেছেন। বিলাসবহুল এই ডালের মধ্যে মেশানো হয়েছে ২৪ ক্যারাট খাঁটি সোনা। সেই সঙ্গে ডালটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ কিছু মশলা এবং খাঁটি ঘি। আর সোনার গুঁড়োর ওই তড়কা একটি আলাদা বাটিতে পরিবেশন করা হচ্ছে। অর্থাৎ এই বিলাসবহুল ঐশ্বর্যশালী ডাল পরিবেশনের কায়দাটাও বেশ অন্যরকম!
advertisement
ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি কাঠের বাক্স। তার মধ্যে রাখা বাটিতে লোভনীয় ডাল। আর ডালের বাটির পাশেই তুলনায় ছোট আরও একটি বাটি। তার মধ্যে রয়েছে সোনার তড়কা। আর অতিথিদের দেখিয়ে তবেই সেই সোনার তড়কা ডালের উপর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
শুধু এই বিখ্যাত ডাল নয়, দুবাইয়ের কাশকন রেস্তোরাঁর প্রসঙ্গে সেলিব্রিটি শ্যেফ রণবীর ব্রার বলেন, “প্রতিটি ঝলমলে দানা এক-একটি ফিউশনের গল্প বলে। যা প্রত্যেক অতিথিকে এই বিশেষ পদ উপভোগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। সেই সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ভারত এবং দুবাই উভয়ের আত্মাকেও আলিঙ্গন করে।” তিনি আরও বলেন যে, “ভারতীয় ক্যুইজিন (ডাল)-এর সমৃদ্ধির সঙ্গে দুবাইয়ের প্রাণবন্ততা (সোনা)-র এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটানোর জন্যই এমনটা করা হয়েছে।”
কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠবে যে, এই সোনার ডাল বা ডাল কাশকনের দাম কত হবে? এই বিলাসবহুল ডালের মূল্য ৫৮ দিরহাম। ভারতীয় মুদ্রায় এই দাম হবে ১৩০০ টাকা। দাম যা-ই হোক না কেন, এহেন ডালের ভিডিও দেখে নেটিজেনরাও মেতে উঠেছেন ঠাট্টা-তামাশায়। এমন ডাল পেটে গেলে কী কী হতে পারে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ পর্যন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। একজন মজাচ্ছলে লিখেছেন, “এর শেষ পরিণতি কী… গোল্ড নাগেটস! তাহলে খাওয়া যেতেই পারে।” অন্য এক নেটাগরিক ঠাট্টা করে বলেন, “ও তাহলে এই ডাল কত বছরের জন্য সিন্দুকে যত্ন করে রাখা ছিল?”