এ দেশে পুজোপার্বণ হোক কিংবা কোনও অনুষ্ঠান, অনেকেই ভান্ডারা দেন। পেটপুরে চলে খাওয়াদাওয়া। খাবারও সবসময়ই সুস্বাদু হয়, ধর্মীয় বিশ্বাস এমনই। ভান্ডারাতে সাধারণত গোটা সবজির তরকারির সঙ্গে মিষ্টি কিছু দেওয়া হয়। লোকজন ভক্তি সহকারে খান। ভগবানের আশীর্বাদ কামনা করেন। পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে দূরে থাকা ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবার ভান্ডারা সুস্বাদু খাবারের গঙ্গোত্রী। গরিব-দুঃখীরাও কোথাও ভান্ডারার খবর পেলে ছুটে যান। একবেলার খাবারের বন্দোবস্ত হয়।
advertisement
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়পুরের একটি ভান্ডারার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তা দেখেই বুক কেঁপে উঠছে নেটিজেনদের। তরকারি পরিবেশন করা হচ্ছিল। বালতি থেকে হাতা দিয়ে তুলে পাতে দিতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। আলু-কপির তরকারির সঙ্গে উঠে এল একটি বিষাক্ত সাপ। হাতা দিয়ে তরকারি তোলার সময়ই তাতে সাপ দেখা যায়।
সাপ তখনও বেঁচে: প্রথমে ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি কেউ। দিব্যি পাতে তরকারি ঢেলে দিচ্ছিলেন পরিবেশক। চলছিল খাওয়াদাওয়া। কিন্তু যিনি পরিবেশন করছিলেন তাঁর সন্দেহ হয়। বালতির ভিতর কী যেন নড়েছে! হাতা দিয়ে নাড়তেই কিলবিল করে ওঠে সাপ। সাপটা তখনও বেঁচে। তবে কারও পাতে পড়েনি এই রক্ষে।
আরও পড়ুন– রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে তুমুল উত্তেজনা ! সকাল সকাল রণক্ষেত্র হয়ে উঠল শহর কলকাতা
বিপদ কাটল: সঙ্গে সঙ্গে সাপটা বালতি থেকে বের করে ফেলে দেওয়া হয়। ফেলে দেওয়া হয় সেই বালতির তরকারিও। সাপের বালতির তরকারি পরিবেশন হলে বহু মানুষের প্রাণ সংশয় হতে পারত। ভান্ডারায় আসা এক ব্যক্তি ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই লিখেছেন, ‘‘এবার থেকে ভান্ডারায় খাওয়ার আগে একশোবার ভাবতে হবে।’’ অনেকে আবার লিখেছেন, ‘‘ঈশ্বরের আশীর্বাদে খারাপ কিছু হয়নি এটাই বড় কথা।’’ এখনও পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন।