দক্ষিণ ইতালির তারেন্ত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলিনার চার্লসটনের পথে যাত্রা করা এক বোয়িং ৭৪৭-৪০০ বিমানে ঘটেছে এমন ঘটনা। বড় মালবাহী বিমানটি, যা সাধারণত ড্রিমলিফটার নামে পরিচিত, ইতালির বিমানবন্দর থেকে উড়ান শুরু করার সময়ে তার ১০০ কিলোগ্রামের চাকাই খুলে যায়৷ ইন্ডিপেনডেন্ট সংবাদ সংস্থার মতে, কার্গো বিমানটি, মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ ইতালির তারেন্ত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলিনার চার্লসটনের পথে যাত্রা করতে চলেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- বিয়ে কী ? এই নিয়ে লেখা ছাত্রের প্রবন্ধ এখন ভাইরাল ! হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে যাবে
নেট দুনিয়া স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছে এমন ভিডিও প্রতক্ষ করে। “আমি ভাবছি যে বোয়িংয়ের এই চাকাটা আসলে বাড়তি চাকা ছিল কি না। এটি পাল্টাতে তো আর জ্যাকেরও প্রয়োজন হবে না,” ভিডিওটির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একজন লিখেছেন। অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “ভালই হয়েছে বিমান থেকে জ্বলন্ত চাকা আলাদা হয়ে গিয়েছে। না হলে বিমানে থাকা লোকদের প্রাণহানিও হতে পারত। "
বিশ্বের দীর্ঘতম মালবাহী বিমানগুলির মধ্যে একটি এই বোয়িং ড্রিমলিফটার চাকা পড়ে যাওয়া সত্ত্বেও তার গন্তব্যে এগিয়ে যায়। এবং প্রায় ১১ ঘণ্টা পরে চার্লসটনের বোয়িংয়ের এক কারখানায় নিরাপদে অবতরণ করে। দুর্ঘটনায় জড়িত এই বোয়িং ড্রিমলিফটারটি মার্কিন কার্গো বিমান সংস্থা অ্যাটলাস এয়ারের ছিল বলে জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারেন্ত-গ্রোটাগ্লি বিমানবন্দরের কাছে একটি আঙুর বাগানে চাকাটি উদ্ধার করা হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে, দুর্ঘটনার কারণে কেউ হতাহত হয়নি। চাকাটির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এলেও ছবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
যদিও একটি বিবৃতিতে বোয়িং ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেছে যে, ১১ অক্টোবর বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছিল, তবে এমন ঘটনার কারণ এখনও অজানা। অ্যাটলাস এয়ার দ্বারা পরিচালিত একটি ড্রিমলিফটার মালবাহী বিমান আজ সকালে ইতালির তারেন্ত-গ্রোটাগ্লি বিমানবন্দর থেকে টেকঅফের সময় তার ল্যান্ডিং গিয়ার থেকে একটি চাকা না থাকলেও চার্লসটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে। সংস্থার এক প্রতিনিধি বলেছেন, “আমরা তদন্ত প্রক্রিয়ায় যথাযোগ্য সমর্থন করব।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ড্রিমলিফটার হল একটি বোয়িংয়ের বিমান যা বিংশ শতকের গোড়ার দিকে পণ্য পরিবহণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।