আরও পড়ুন: ফের ট্রেন দুর্ঘটনা! লাইনচ্যুত লোকাল, লাইন থেকে ছিটকে গেল চলন্ত ট্রেনের পাঁচটি কামরা
বর্তমানে ব্যারাকপুরের বাসিন্দা প্রাক্তন ডিফেন্স অফিসারের মৃত মাকে এত নিখুঁতভাবে জীবন্ত করে তুললেন সিলিকন আর্টিস্ট সুবিমল দাস, যা দেখে বৌমা রেখা-সহ হতবাক ছেলে কর্নেল সিএস গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও। মৃত মাকে চোখের সামনে দেখে কেঁদে ফেলেন এই প্রাক্তন সেনা আধিকারিক। গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি শাশুড়িকে হারান রেখা। সেই জায়গা থেকে বৌমা রেখার নজরে আসে সিলিকন আর্টিস্ট সুবিমল দাসের বিভিন্ন সিলিকনের কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারত ছাড়া গতি নেই বাংলাদেশের! হাজার কোটিরও বেশি টাকা দাম, জানেন এবার কী কিনছে ঢাকা?
এরপরই মৃত শাশুড়িকে অন্যভাবে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা মাথায় আসে তাঁর। তবে এই বিষয়ে পরিবারের কাউকেই জানতে দেননি তিনি। রেখার বড় মেয়ে তন্নিষ্ঠা গঙ্গোপাধ্যায়ের আর্টিস্ট হওয়ায়, মেয়ের সাহায্য নিয়েই শাশুড়ির একটি ছবি নিয়ে সুবিমল দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই অনুযায়ী তৈরি হয় মূর্তি।
হঠাৎ করেই মৃত মানুষকে চেয়ারে সশরীরে বসে থাকতে দেখে সকলেই চমকে যান। সুবিমল দাসের নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় সিলিকন মডেলে দীর্ঘ প্রায় দশ বছর আগে মৃত শাশুড়ি হয়ে ওঠেন জীবন্ত। যা দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না ছেলে-সহ গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের অনেকেই। এভাবেই যেন বৌমা রেখা দে গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর মৃত শাশুড়িকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে সাংসারিক জীবনে বৌমা ও শাশুড়ির সম্পর্কে এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন। সমাজেও যা এক অপূর্ব উদাহরণ হয়ে রইল। গোটা পরিবারের তরফ থেকে বিখ্যাত সিলিকন আর্টিস্ট সুবিমল দাসকে দেওয়া হয় অসংখ্য ধন্যবাদ।