সাধারণত খনি থেকেই সোনা আহরণ করা হয়। ছোট ছোট টুকরো বা দানা আকারের সোনা জল, পাথর কিংবা মাটির সঙ্গে মিশে থাকে। দক্ষ শ্রমিকরা সে সব আলাদা করেন। এ জন্য শ্রমিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু এই গ্রামে কোনও খনি নয়, মাটিতেই সোনা পাওয়া যায়।
অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার শ্রীকালহস্তি এলাকার কাছেই এই গ্রাম। এখানে মাটির সঙ্গে মিশে আছে সোনা। গ্রামের মানুষ মাটি চেলে সোনা বের করেন। এই করেই আয় কোটি কোটি টাকা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এটাই জীবিকা এই গ্রামের মানুষের।
advertisement
আরও পড়ুন: মটরশুঁটি ডাকুন বা কড়াইশুঁটি, কোলন ক্যানসার থেকে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খুব জরুরি সবজি
কিন্তু মাটির সঙ্গে সোনা মিশে থাকার কথাটা কি সত্যি? না, এটা কথার কথা মাত্র। আসলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাইয়ের মতো বড় শহরে প্রচুর সোনার দোকান রয়েছে। গয়না তৈরির সময় ধুলো, কাদামাটি এবং অন্যান্য অনেক জিনিসে সোনা মিশে যায়। সেই সোনা আর উদ্ধার করা যায় না। এই গ্রামের মানুষ সেই ধুলো কিনে আনেন। তারপর শুরু হয় সোনার খোঁজ।
আরও পড়ুন: ভাল করে চিনুন পাতাগুলি, বাড়ির আশপাশেই রয়েছে এই লতানো গাছ! খেতে শুরু করলে ওষুধের খরচ কমবেই
কাদামাটি থেকে সোনা: গ্রামবাসীরা জানান, পারদের সাহায্যে তাঁরা এঁটেল মাটি থেকে সোনা বের করেন। সেটা কীভাবে? প্রথমে কাদামাটি বা এঁটেল মাটিতে পারদ মিশিয়ে ছোট ছোট বল বানানো হয়। তারপর ২ থেকে ৩ দিন শুকানো হয় রোদে। তারপর কেকের মতো বানিয়ে দেওয়া হয় মেশিনে। তারপর মাটি শুকিয়ে আরও একদিন ঠান্ডা করা হয়। এবার ২ জন মহিলা এ থেকে সোনা এবং পারদ আলাদা করার কাজ শুরু করেন।
ওভেনে বেকড: এখান থেকে প্রাপ্ত সোনা কাচের পাত্রে রেখে চুল্লিতে সেঁকা হয়। তারপর এতে মেশানো হয় অ্যাসিড। তারপর আরও গরম করা হয়। এই পর্যায়ে তামা, পিতলের মতো অমেধ্য অ্যাসিডে দ্রবীভূত হয়ে যায়। পড়ে থাকে খাঁটি সোনা। তবে কিছুটা ভাগ্যের খেলাও আছে। কারণ অনেক সময় যতটা পারদ মেশানো হয় ততটা সোনা পাওয়া যায় না। কখনও ১ গ্রাম পাওয়া যায়, তো কখনও ২ গ্রাম। সোনা পাওয়াই গেল না, এমনটাও হয়। তখন মাটি কেনা আর তা ঝাড়াই বাছাইয়ের খরচটাই জলে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F