আমাদের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে এমনই এক মহিলার কথা জানা গিয়েছে, যাঁর মেক-আপের অদ্ভুত শখ রয়েছে (Pakistani Woman Becomes Bride Every Week)।
হালকা বা ভারি মেকআপ তো বটেই, ওই মহিলার এই শখের কথা শুনে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে। পাকিস্তানের ওই মহিলা প্রতি সপ্তাহে নিজেকে কনের সাজে সাজিয়ে তোলেন। তাঁর এই শখের পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ।
advertisement
নিজে নিজে মেক-আপ করেই নববধূর মতো সাজেন এই পাকিস্তানি নারী। মজার ব্যাপার হলো, তাঁর এই ঘটনা আজকের নয়, বিগত ১৬ বছর ধরে একই ভাবে তিনি নিজের শখ পূরণ করে আসছেন। যাঁরাই তাঁকে কনের সাজে দেখেন, তাঁরা হতবাক হয়ে যান।
৪২ বছর বয়সি হীরা জিশান (Heera Zeeshan), পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার দিনটিকে তিনি মেক-আপের দিন হিসেবে পালন করেন। তাঁর এই শখ প্রথম শুরু হয়েছিল ১৬ বছর আগে। তার পর থেকে এমন কোনও শুক্রবার বাদ যায়নি, যে দিন তিনি নিজেকে কনের সাজে সাজাননি। লাল রঙের বিয়ের পোশাক, হাতে ও পায়ে মেহেন্দি লাগানো, এমনকী আসল বিয়ের গহনাও তিনি পরেন। এর পর সারা দিন এ ভাবেই সেজেগুজে থাকেন।
আরও পড়ুন- পোষ্য বাঁদরকে টয়লেটে ফেলে ফ্লাশ ! হাজতবাস এবং জরিমানা মহিলার
এই অদ্ভুত শখের রহস্য কী?
এই শখের কথা বলতে গিয়ে হীরা নিজেই জানিয়েছেন, আজ থেকে প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে তাঁর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এর পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অসুস্থ মায়ের ইচ্ছা ছিল যে, তিনি মৃত্যুর আগে তাঁর মেয়েকে বিয়ের সাজে দেখতে চান। এমতাবস্থায় হীরা হাসপাতালেই এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে নেন। প্রসঙ্গত, ওই ব্যক্তিই আসলে হীরার মাকে রক্ত দিয়েছিলেন। মায়ের সুখের জন্য হীরা হাসপাতালেই বিয়ে সারেন এবং রিকশায় চড়ে বিদায় নেন। সে দিন একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায়, বিয়ের নূন্যতম প্রস্তুতি না-নিয়েই তাঁকে পরিস্থিতির কারণে বিয়ে করতে হয়েছিল। বিয়ের কয়েক দিন পরে মা মারা গেলে হীরা আরও ভেঙে পড়েন। শুধু তা-ই নয়, হীরার ৬ সন্তানের মধ্যে প্রথম ২ সন্তানও মারা যায়। এই দুঃখ কাটিয়ে উঠতে তিনি নিজেকে নববধূর মতো সাজাতে আরম্ভ করেন। তার এই শখ আজও অব্যাহত রয়েছে।