সম্প্রতি ট্যুইটারে এক জোড়া নীল রঙের হাওয়াই চপ্পলের ছবি ভাইরাল হয়েছে। যার দাম প্রায় ৯ হাজার টাকা! যা শুনে রীতিমতো ভিরমি খাচ্ছেন নেটিজেনরা! যদিও প্রথমে দামটা শুনে অনেকেই হয় তো ভেবেছিলেন যে, একশো জোড়া হাওয়াই চটির দাম ৯ হাজার টাকা। কিন্তু আসলে তা নয়! একটা হাওয়াই চপ্পলেরই এত দাম!
আরও পড়ুন- দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত, শনিবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা!
advertisement
কিন্তু দামের এত কারণ কী? আর কী-ই বা আছে তাতে? আসলে লাক্সারি ব্র্যান্ড হিউগো বস ওই হাওয়াই চপ্পলের বিক্রেতা ও নির্মাতা। যার ফলে গোটা নেটদুনিয়া জুড়ে হিউগো বস-কে নিয়ে উঠেছে ঠাট্টার রোল। এমনিতে ভারতের ঘরে ঘরে এই ধরনের হাওয়াই চপ্পল একজোড়া তো অন্তত থাকবেই। বিশেষ করে বাথরুমে যাওয়ার জন্য এক পাটি হাওয়াই চটি রাখা থাকে। আর যে হাওয়াই চপ্পলের ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি আমাদের সাধারণ হাওয়াই চটির মতোই। যার দাম কখনওই দেড়শো টাকার বেশি হতে পারে না!
ট্যুইটারে হিউগো বস-এর হাওয়াই চপ্পলের দাম আর ছবি ভাইরাল হতেই ভারতীয়রা তা নিয়ে ঠাট্টা শুরু হয়েছে। এক জন তো সোজাসাপ্টা লিখেই দিয়েছেন যে, “যদি কোনও দিন কোটিপতিও হয়ে যাই, তা-হলেও আমি এই দামে এই চপ্পল কিনব না!” শুধু কি তা-ই? অনেকে আবার বলছেন যে, “এই ধরনের এক জোড়া হাওয়াই চপ্পল প্যারাগন বিক্রি করে থাকে। যার দাম খুব বেশি হলে ১০০ টাকা হবে!”
আরও পড়ুন- ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা হয়েছে! দাবি কোমা থেকে ফেরা নার্সের; সম্পর্কও এখন আগের চেয়ে মজবুত
আসলে এই ধরনের কিছু জিনিস হামেশাই ট্যুইটারে আসে। আর অস্বাভাবিক কিংবা লাগামছাড়া দামের জন্য যা ভাইরাল হয়। এই তো দিন কয়েক আগেই একটা সাধারণ শর্টস ভাইরাল হয়েছিল। যার দাম ছিল প্রায় ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা! এখানেই শেষ নয়, ভাইরাল হয়েছিল প্রায় ১১ হাজার ৪৫০ টাকা দামের একটা শার্টও। সেই তথ্য শেয়ার করেছিলেন আরশাদ ওয়াহিদ নামে এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “এর দাম ১৫ হাজার টাকা কেন?” যেটার জন্য মানুষ সবথেকে বেশি আশ্চর্য হচ্ছে, সেটা হল - এই সব পোশাক-আশাকের মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়া কিংবা নজর কাড়ার মতো তেমন তো কিছুই নেই! রোজকার পরার পোশাকের মতোই সাধারণ! অথচ সাধারণ পোশাকেরই এমন আকাশছোঁয়া দাম! এখন সেই কারণই খুঁজছেন নেটাগরিকরা!