অথচ, দেশে বার বার এমন ঘটনা ঘটছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে ব্যাঙ্ক ভুল করে তার কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিচ্ছে, তাও আবার তার অঙ্ক ছোটখাটো নয়, যে যে উদাহরণ প্রকাশ্যে এসেছে, সব ক্ষেত্রেই সেই টাকার অঙ্ক থেকেছে কোটির ঘরে।
আরও পড়ুন: বাজারে হয়তো তাকিয়েও দেখেন না লাউ শাক, উপকার জানলে এখনই কিনতে ছুটবেন!
advertisement
এবারে যেমন মহম্মদ ইদ্রিসের নাম উঠে এসেছে এরকমই এক ঘটনায়। ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ইদ্রিস চেন্নাইয়ের বাসিন্দা, তাঁর অ্যাকাউন্ট ছিল কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কে। শনিবার তিনি তাঁর এক বন্ধুর অ্যাকাউন্টে অনলাইনে ২০০০ টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন। এর পরে ব্যালেন্স চেক করতে গিয়েই তাজ্জব হয়ে যান ইদ্রিস, দেখেন যে তাঁর অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ৭৫৩ কোটি টাকা জমা হয়ে আছে।
বলাই বাহুল্য, এ কৃষ্ণ আর সুদামার গল্প নয়। সুদামার চিঁড়েমুঠি ফিরে এসেছিল বন্ধুর বদান্যতায় সোনামুঠি হয়ে। কিন্তু, চেন্নাইয়ের এক ওষুধের দোকানের কর্মচারী মহম্মদ ইদ্রিস স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর অ্যাকাউন্টে ৭৫৩ কোটি টাকা জমা হওয়ার নেপথ্যে কোনও গোলযোগ রয়েছে। ফলে, তিনি ব্যাঙ্ককে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন। কোটাক মাহিন্দ্রা জানায় যে তাদের ভুলে এমনটা হয়েছে। পাছে ইদ্রিস সেখান থেকে টাকা তুলে নেন, এই ভয়ে তারা আপাতত অ্যাকাউন্টটি ফ্রিজ করে দিয়েছে।
ইতিপূর্বে একই ঘটনা ঘটেছে এক ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে, তারও ঘটনাস্থল ওই চেন্নাই। তামিলনাড় মার্সেন্টাইল ব্যাঙ্কের ওই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ৯০০০ কোটি টাকা জমা হয়েছিল এক বন্ধুকে ২১ হাজার টাকা অনলাইনে ট্রান্সফার করার পরে। এক্ষেত্রেও ব্যাঙ্ক নিজের দোষ স্বীকার করে এবং ওই ব্যক্তিকে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা না তোলার অনুরোধ জানিয়ে পদক্ষেপ করে। ব্যক্তিগত কারণ দর্শিয়ে ওই ব্যাঙ্কের সিইও এস কৃষ্ণন ঘটনার কিছু দিন পরেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন। এবার দেখার, কোটাক মাহিন্দ্রার ক্ষেত্রেও এরকম কিছু ঘটতে চলেছে কি না!