আজ এমনই ব্যক্তির গল্পই বলা যাক। ডেইলি স্টার-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪ বছর বয়সী লিউক হ্যারিস একজন কারখানার শ্রমিক। তাঁর সঙ্গে যা ঘটেছে, তা ভাগ্যের খেলা ছাড়া আর কিছুই নয়! এক টুকরো রুটি কিনতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরেই দেখলেন যে, কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন তিনি। ছোটখাটো পরিমাণ নয়, বরং এক লপ্তে ১০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছিলেন লিউক।
advertisement
আরও পড়ুন– ৩৬-এ পা দিলেন কিং কোহলি; কীভাবে খ্যাতির শিখরে উত্থান হয়েছিল কিংবদন্তি এই ক্রিকেট তারকার?
কারখানার সাধারণ একজন কর্মচারী এই লিউক। ৩৪ বছর বয়সী ওই যুবক কোথাও যাচ্ছিলেন। সেই পথে পরিবারের খিদে মেটানোর জন্য একটুকরো রুটি কিনতে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের খেলা যে ঘুরে যেতে চলেছে, সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। রুটি কেনার পাশাপাশি একটা স্ক্র্যাচ কার্ডও কিনেছিলেন লিউক। গাড়িতে উঠেই তড়িঘড়ি স্ক্র্যাচ করতে শুরু করেন স্ক্র্যাচ কার্ডটি। এরপর স্ক্র্যাচ কার্ডে যা দেখলেন, তা নিজের চোখকেও বিশ্বাস করাতে পারেননি লিউক! ভেবেছিলেন যে, ১০০০ টাকা পেয়ে গেলেও মনটা আনন্দিত হয়ে যাবে। কিন্তু স্ক্র্যাচ করার পর তিনি দেখলেন, রীতিমতো জ্যাকপট পেয়ে গিয়েছেন!
লিউক বলেন যে, স্ক্র্যাচ কার্ড কিনে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এমন জ্যাকপট পাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি! এই এত পরিমাণ টাকা পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত তিনি। কারণ সামনেই বিয়ে করার কথা লিউকের। আর সবার আগে একটা বাড়ি কিনতে চাইছিলেন বলে বিয়ে স্থগিত রেখেছিলেন। আসলে মাস তিনেক আগেই লিউক নতুন বাড়িতে শিফট করেছিলেন। আর ওই একই এলাকা থেকে স্ক্র্যাচ কার্ডটি কিনেছিলেন তিনি। ফলে এবার অনায়াসে বাড়ি কেনার পুরো টাকাটাই মিটিয়ে দিতে পারবেন বলে তাঁর আশা। কারণ লটারিতে তিনি জিতেছেন ১০ লক্ষ পাউন্ড। আপাতত বড়দিনের জন্য উৎসাহিত লিউক। পরিবারের সঙ্গে স্কি উপভোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।