এই ঘটনাটি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের। যেখানে এক সদ্যবিবাহিত স্বামী তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন যে, কনে বিয়ের সময় এমন একটি গানে নাচছিলেন, যা তাঁর পছন্দ হয়নি। যদিও এই ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য নয়, কিন্তু এটি সত্যি যে শুধুমাত্র নাচের পারফরম্যান্সের কারণেই বিয়ের পর স্ত্রীকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
advertisement
গলফ নিউজের মতে, এক ইরাকি ব্যক্তির বিয়েতে তাঁর কনে একটি বিশেষ গানে নেচেছিলেন। যদিও কনের পারফরম্যান্স ছিল দেখার মতো, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি যে গানে নাচছিলেন, তা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের পছন্দ হয়নি। আসলে গানটি ছিল সিরিয়ার একটি বিখ্যাত গান। গানের নাম 'মেসায়তারা' (Mesaytara), সেখানে একটা পংক্তি ছিল, অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় অনেকটা এই রকম- আমি তোমাকে আমার মর্জিমতো চালাবো, তোমার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণে রাখবো। ওই গানের কথা শুনেই বরের মেজাজ চড়লে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় এবং ওই ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত বিয়ে ভেঙে দেন। এই সিরিয়ান গানটি গেয়েছেন লামিস খান (Lamis Khan), যেটি বিশেষ করে বিয়ের সময় গাওয়ার জন্যই লেখা হয়েছিল। যাই হোক, এই গানের ইতিহাস অবশ্য ভালো নয়। এর আগেও গত বছরের শুরুর দিকে এই গানটি জর্ডনে এক বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান চলাকালীন বাজানো হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত ওই দম্পতির মধ্যেও বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল।
আরও পড়ুন-‘সোনা-রুপোর’ তৈরি পান ! দাম ৭৬০ টাকা ! ভাইরাল ভিডিও দেখে যা বললেন নেটিজেনরা
জানলে অবাক হতে হয়, কিন্তু এর আগেও এমন অদ্ভুত ডিভোর্সের ঘটনা ঘটেছে। ইজরায়েলে একজন অস্ট্রেলিয়ান ব্যক্তির স্ত্রী যখন স্বামীকে তালাক দিতে চেয়েছিলেন, তখন তাঁকে পরবর্তী ৮০০০ বছর ইজরায়েলে বসবাস করার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। অন্যথায়, স্বামীকে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদান করার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। ইজরায়েল ছেড়ে এবার অস্ট্রেলিয়ার দিকে তাকালেও জানা যাবে আজব ঘটনা, সেখানে একজন মহিলা তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন কারণ স্বামী খুব শান্ত এবং তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করেন না!